পুঠিয়ায় অপ্রতিরোধ্য ভাবে ফসলি জমি বিনাশ করে চলছে অবৈধ পুকুর খনন


, আপডেট করা হয়েছে : 01-04-2023

পুঠিয়ায় অপ্রতিরোধ্য ভাবে ফসলি জমি বিনাশ করে চলছে অবৈধ পুকুর খনন

 সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাজশাহী জেলার পুঠিয়ায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ক্ষমতাশালী দলের কিছু নেতাকর্মীর ছত্র ছায়ায় ফসলি কৃষি জমি নষ্ট করে অভিনব কৌশলে রাতের অন্ধকারে চলছে শিলমারিয়া ইউনিয়নে অবৈধ পুকুর খননের হিড়িক। শিলামাড়িয়া ইউনিয়নের রাতোয়াল বিলে একই সাথে চলছে দুইটি অবৈধ পুকুর খনন কাজ প্রায় ১০০ বিঘা তিন ফসলি জমিতে। এসব অবৈধ পুকুর খননকারী বাগমারার মোঃ লতিফ ও তাহেরপুরের রঞ্জু। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মালিপাড়া বিলে ৩০ বিঘা, সড়গাছি বিলে ৩০ মঙ্গলপাড়া বিলে ৪০ বিঘা  আবাদি কৃষি জমি ধ্বংস করে অবাধে পুকুর খনন কাজ অব্যাহত রেখেছে অবৈধ পুকুর খননকারী'রা।  রাত ৯:টা থেকে শুরু করে অবৈধ পুকুর খনন কাজ। এসব অবৈধ পুকুর খনন বিষয়ে প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকার কৃষক। এভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের কারণে মারাত্মক সংকটে পুঠিয়ার ফসলি কৃষি জমি। কৃষক মোঃ সাত্তার জানান, এভাবেই গত ৫/৬ বছর থেকে হচ্ছে পুঠিয়া উপজেলায় গণহারে পুকুর খনন, তাই আজ আমাদের পুঠিয়ার ফসলি কৃষি জমির অস্তিত্ব সংকটে। এখন শীতকাল এ সময় আমাদের জমিতে বিভিন্ন রকম শীতকালীন সবজি চাষ করতাম এবং আমাদের এলাকার সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেত  কিন্তু অপরিকল্পিত ভাবে আমাদের ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খননের কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য রাখা হয়নি কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের ভিটা জমিতে উঠে যায় পানি এসব কারণেই আমরা আমাদের ভিটা জমিতেও সবজি চাষ করতে সাহস পায় না। হাজার হাজার টাকা খরচ করে সবজি চাষ করি পানি উঠে নষ্ট হয়ে যায় আমাদের সবজি। এবার এসব পুকুর খনন প্রতিরোধ না করতে পারলে বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি উঠে আসবে আমাদের বাড়িতে তাই এসব ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করছিলাম এসব পুকুর খনন বন্ধ না হলে আমরা ভবিষ্যতে হারাবো আমাদের শেষ সম্বল বসত বাড়ি।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার