আরাভকে ফেরাতে আমিরাতে চিঠি


, আপডেট করা হয়েছে : 07-04-2023

আরাভকে ফেরাতে আমিরাতে চিঠি

পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফেরাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সরকার। 

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নে এ কথা জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।

আরাভ খানের সর্বশেষ অবস্থার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যে এক্সট্রাডিশন ফাইল বা যে কাগজপত্রগুলো রয়েছে, সেগুলো সত্যায়ন করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যে মিশন- সেখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে।”

আরাভ সংশ্লিষ্ট কোনো অগ্রগতি থাকলে, সেটা পরে সংবাদমাধ্যমকে জানানোর আশ্বাস দেন মুখপাত্র সেহেলী। 

সম্প্রতি আরব আমিরাতের দুবাইয়ে একটি গয়নার দোকান উদ্বোধন হয়েছে ‘আরাভের’। সেটি উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ থেকে উড়ে যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, অভিনেত্রী ফারদিন দীঘি, ইউটিউবার হিরো আলমসহ বিনোদন জগতের আরও কয়েকজন। আর সেই আয়োজন ঘিরে দেশে শুরু হয় তোলপাড়। 

ওই অনুষ্ঠানের আগে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, এই আরাভ আর কেউ নন, ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম, যিনি ভারতীয় পাসপোর্টে ‍দুবাই গেছেন।

আরও প্রকাশ পায়, এই আরাভ বা রবিউল একেক সময় একেক নামে পরিচিতি পেয়েছেন। তার বাবা ছিলেন নিম্ন আয়ের একজন মানুষ, যিনি ঢাকায় এসে হোটেলে শ্রমিকের কাজ করেছেন। সেই আরাভই এখন শত শত কোটি টাকার মালিক, যার অর্থের উৎস নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। 

গত ২১ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “একটি বিষয় জানা গেছে সে (আরাভ) দুবাই পুলিশের সার্ভিলেন্সে আছে।”

এর পরপর আরাভ খানের নামে রেড নোটিস জারি করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন-ইন্টারপোল। নোটিসে তার নাম লেখা হয়েছে- রবিউল ইসলাম রবিউল, বয়স ৩৫। জন্মস্থান বাগেরহাট।

এর আগে আরাভের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার একজন জনপ্রতিনিধি জানিয়েছিলেন, রবিউলের জন্ম বাগেরহাটের চিতলমারিতে মামার বাড়িতে, সেখানেই তার অনেকটা বেড়ে ওঠা। এরপর তিনি ঢাকায় আসেন। ইন্টারপোলের রেড নোটিসেও তার জন্মস্থান বাগেরহাট লেখা হয়েছে। 


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার