দুর্গাপুরে তিন ফসলি জমি নষ্ট করে চলছে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন


, আপডেট করা হয়েছে : 13-04-2023

দুর্গাপুরে তিন ফসলি জমি নষ্ট করে চলছে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে  ক্ষমতাশালী দলের কিছু নেতাকর্মীর ছত্র ছায়ায়। ১৫ বিঘা তিন ফসলি জমি নষ্ট করে চলছে ৬নং মাড়িয়া ইউনিয়নে বাঙ্গাবাড়িয়া বিলে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের কাজ। এই পুকুর খননকারী শফিক নামের এক ব্যক্তি। এসব অবৈধ পুকুর খনন বিষয়ে প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকার কৃষক। এভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের কারণে মারাত্মক সংকটে দুর্গাপুরে ফসলি কৃষি জমি। কৃষক মোঃ সামাদ জানান, এভাবেই গত ৫/৬ বছর থেকে হচ্ছে দুর্গাপুর উপজেলায় গণহারে পুকুর খনন, তাই আজ আমাদের দুর্গাপুর উপজেলায় ফসলি কৃষি জমির অস্তিত্ব সংকটে। এ সময় আমাদের জমিতে বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করতাম এবং আমাদের এলাকার সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেত কিন্তু অপরিকল্পিত ভাবে আমাদের ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খননের কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য রাখা হয়নি কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের ভিটা জমিতে উঠে যায় পানি এসব কারণেই আমরা আমাদের ভিটা জমিতেও সবজি চাষ করতে সাহস পায় না। হাজার হাজার টাকা খরচ করে সবজি চাষ করি পানি উঠে নষ্ট হয়ে যায় আমাদের সবজি। এবার এসব পুকুর খনন প্রতিরোধ না করতে পারলে বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি উঠে আসবে আমাদের বাড়িতে তাই এসব ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করছিলাম এসব পুকুর খনন বন্ধ না হলে আমরা ভবিষ্যতে হারাবো আমাদের শেষ সম্বল বসত বাড়ি। এই অবৈধ পুকুর খনন বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ সোহেল রানা জানান, খোঁজ নিয়ে  দ্রুত পুকুর এবং খননকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দ্রুত এসব অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার