আ.লীগের সমর্থন পেতে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন রাসিকের কাউন্সিলর প্রার্থীরা


, আপডেট করা হয়েছে : 18-04-2023

আ.লীগের সমর্থন পেতে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন রাসিকের কাউন্সিলর প্রার্থীরা

রাজশাহী সিটি (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পরে শুরু হয়েছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের দৌড়-ঝাঁপ। গত শনিবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড রাসিক নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করে। এর পর ওইদিন থেকেই কাউন্সিলর প্রার্থীদের কেউ কেউ মেয়রের কাছে ভিড় করতে শুরু করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

দলীয় ব্যানারে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচন করার সুযোগ না থাকলেও আওয়ামী লীগের সর্মথন নিয়ে নির্বাচনী মাঠে সুবিধা নিতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের অন্তত ৬০-৭০ জন নেতাকর্মী দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বিষিয়টি নিশ্চিত করেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছেই বেশি ঘুরাফেরা শুরু করেছেন এসা প্রার্থীরা।

জানতে চাইলে মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও। তিনি বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীরা আসছেন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে নির্বাচন করবেন। এখানে দলীয় সিদ্ধান্তের কোনো বিষয় নাই।’

সূত্র মতে, নগরীর এক নম্বর ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি রজব আলী এবারও নির্বাচনে অংশ নিবেন। সেই সঙ্গে ওই ওয়ার্ড থেকে এবার আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য দৌড়-ঝাঁপ করছেন ব্যবসায়ী মখলেছুর রহমান। এর বাইরেও আরও কয়েকজন নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে চেষ্টা করছেন।

নরীর তিন নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবার আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাউন্সিলর পদে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন শামীম উদ্দিন, বর্তমান কাউন্সিলর কামাল হোসেন এবং সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিব। বছর কয়েক আগে হাবিব আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।

নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে চেষ্টা করছেন মইফুল ইসলাম, বর্তমান কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহাতাব উদ্দিন।
৫ নমবর ওয়ার্ড থেকে বর্তমান কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরু এবং সাবেক কাউন্সিরর হাসিমের ছেলে সজুন আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে চেষ্টা করছেন।

নহরীর ১৫ নমব্র ওয়ার্ড থেকে বিএনপি নেতা আব্দুস সোবহান লিটন এবং যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজর রহমানও আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে চেষ্টা করছেন।
জানতে চাইলে মোসাতিফজুর রহমান পরশ বলেন, আমি এবার নির্বাচন করবো। দলের নেতাকর্মীরা এবার চাইছেন যারা সরকারবিরোধী তাদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগের সর্মথন পেতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু এবার আমরা সেটি গতে দিব না।’

নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগে নেতা কামাল হোসেন বলেন, ‘এবার নির্বাচন করবো। দলের নেতাকর্মীরা চাইছেন আমি নির্বাচনে অংশ নেই। সেই হিসেবে সকল প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। মেয়র সাহেবের সঙ্গেও দেখা করেছি।’

নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপিকর্মী আক্কাছ আলী বলেন, আমি কোনো দলের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই না। আমার এলাকার সাধারণ ভোটারদের সমর্থন নিয়ে আমি এগিয়ে যেতে চাই এবারও।’


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার