চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী।শনিবার রাতের এই দুর্ঘটনায় চার শতাধিক দগ্ধ ও আহত হয়েছেন।আহত ও দগ্ধদের রক্ত ও সহায়তার জন্য দলে দলে হাসপাতলে ছুটছে মানুষ।
কেউ ছুটে আসছেন রক্ত দিতে, আবার কেউ আসছেন ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে। কেউ আবার মোটরসাইকেলে এসে নেমে বলছেন, আমার অমুক গ্রুপের রক্ত। কই দিবো?
কেউ আবার নিজের গাড়ি দিয়ে বলছেন, আমার গাড়ি নেন। রক্তদাতা নিয়ে আসেন।
তরুণ, যুবক, স্বামী-স্ত্রী, বয়স্ক থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ হাসপাতালে আসছেন রক্ত দিতে। বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বাসভর্তি হয়ে আসছেন সাহায্য আর রক্ত দিতে। কেউ ফ্রিতে ওষুধ, সরঞ্জামাদি দিচ্ছেন, কেউ ফ্রিতে ডোনার আনা-নেওয়া করছেন।
এদিকে আহতদের চাপ সামাল দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের সব চিকিৎসককে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালসহ সব হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, ছুটিতে থাকা সব চিকিৎসক-নার্সকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এতসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত নেই। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ, স্যালাইন, পেইন কিলার নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ করছি সবাইকে। সেই সঙ্গে আশপাশের উপজেলা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসক আনা হয়েছে। তবু চিকিৎসা দিয়ে পেরে উঠছি না আমরা।
চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিব পালিত বলেন, দগ্ধদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। তাদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন। এ জন্য রক্ত চেয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। আশপাশের সবাইকে হাসপাতালে এসে রক্ত দিয়ে আহতদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।