যে আত্মবিশ্বাস-আস্থায় স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন, তা দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল- টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
কিন্তু বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে সে সুযোগ হাতছাড়া করেছেন এ বাঁহাতি টপ অর্ডার। তাই আউট হয়ে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন শরীরী অভিব্যক্তিতে ফুটে উঠেছিল রাজ্যের হতাশা।
তবে কেন যেন মুখে তা মানতে চাইলেন না শান্ত। খেলা শেষে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে এসে শান্ত শুনলেন, আরও বড় ইনিংস খেলতে পারতেন; ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া, পোড়াচ্ছে কি না? শান্তর জবাব, ‘না। যতটুকু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ খুশি।’
আফগানদের ধারবিহীন বোলিং মোকাবিলা কি সহজ ছিল? এমন প্রশ্নে শান্তর উত্তর, ‘আমার কাছে কাজে সহজ মনে হয়নি। আমি যে প্ল্যানে ব্যাটিং করার চেষ্টা করছিলাম সেটা শুধু এক্সিকিউট করার চেষ্টা করেছি। ক্লিয়ার মাইন্ড ছিল একদম আমি কী করতে চাই। এজন্য মনে হয় আপনাদের কাছে মনে হয় সহজ মনে হচ্ছে। কিন্তু প্রথম থেকেই আমাকে কষ্ট করেই ব্যাটিং করতে হয়েছে।’
মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ২১২ রানের বড়সড় জুটি গড়েছেন। তারপরও দিন শেষে বাংলাদেশের পাঁচ-পাঁচটি উইকেট খোয়া গেছে। সেটা কি খুব বেশি?
শান্তর তা মনে হয় না। তিনি বলেন, ‘এখন যেভাবে মুশফিক ভাই আর মিরাজ ব্যাটিং করছে আমার মনে হয় এটা যদি বড় হয় তাহলে মাঝের ওই দুই-একটা উইকেট হয়তো প্রভাব ফেলবে না। আমরা জুটিটা যদি বড় করতে পারি, টিম ভালো অবস্থায় যাবে। চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে উইকেট কী হবে, সেটা এখনই বলা মুশকিল।’
প্রচণ্ড গরম। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকাই কঠিন। সেখানেক সারাদিন ব্যাটিং করা খুব কষ্টকর কাজ। কতটা কষ্ট হয়েছে? জানতে চাইলে শান্ত বলেন, ‘আমরা শেষ কয়েকটা দিন যেভাবে অনুশীলন করেছি, সেটার প্যাটার্নও ছিল অনেকটা এরকম যে, এত গরমে আমরা কীভাবে ম্যাচটি খেলবো বা ওই অ্যাডজাস্টমেন্টটা কীভাবে করবো। গরম অবশ্যই ছিল। কিন্তু আমরা ভালোভাবে শেষ করছি।’