প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেজিস্টার্ড আইটি ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটি রয়েছে। তাদের আরও দক্ষ ও উন্নতকরণে সহায়তাকল্পে একটি নতুন ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ চালু করা হয়েছে। কাতারে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জাতিসংঘ পঞ্চম সম্মেলনে ‘স্মার্ট অ্যান্ড ইনোভেটিভ সোসাইটির জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ’ শীর্ষক সম্মেলনে ভাষণকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার জন্য নির্ধরিত প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উপস্থাপিত সরকার দলীয় বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, সবার জন্য আইটি দক্ষতার উন্নয়ন আমাদের সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব অ্যান্ড স্কুল প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছি। পরবর্তীতে একনেক ও মন্ত্রিপরিষদে ইনস্টিটিউট অব ন্যানো টেকনোলজি প্রতিষ্ঠার প্রকল্পটি হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সায়েন্স অ্যান্ড আইসিটি প্রকল্পের আওতায় ২০১০-২০১৬ পর্যন্ত দেশে পিএইচডির জন্য মাসিক ৪০ হাজার টাকা, পিএইচডিত্তোর মাসিক ৪৫ হাজার টাকা, বিদেশে (অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইউরোপের দেশসমুহ) এমএস/পিএইচডি’র জন্য মাসিক ১ লাখ ২০ হাজার এবং এমএস/পিএইচডি অন্যান্য দেশে মাসিক ৬৫ হাজার টাকা হারে লিভিং এলাউন্স প্রদান করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়া বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট থেকে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের ১ জুন পর্যন্ত এমএস বাৎসরিক ৫৪ হাজার টাকা, এম ফিল প্রথম বর্ষ ৬৮ হাজার টাকা ও দ্বিতীয় বর্ষ ৯৯ হাজার টাকা এবং পিএইচডি ৩ লাখ (নবায়ন সাপেক্ষে ৩ বছর) টাকা হারে মাসিক লিভিং এলাউন্স প্রদান করা হয়েছে।