জরুরি সেবার মান সন্তোষজনক না হওয়ায় রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি দল সেন্ট্রাল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এ নির্দেশনা দেয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শেখ দাউদ আদনান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া সেন্ট্রাল হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা দিতে পারবেন না চিকিৎসক সংযুক্তা সাহা। এসব নির্দেশনা আজ থেকেই কার্যকর হবে। কোনো ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মাহবুবা রহমান আঁখির চিকিৎসাজনিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত পরিদর্শন টিমের পরিদর্শন পরবর্তী নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংযুক্তা সাহা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লিখিত অনুমোদন ছাড়া পরবর্তী সময় সেন্ট্রাল হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ সেবা দিতে পারবেন না।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, মাহবুবা রহমান আঁখির পরিবারের কাছ থেকে গৃহীত চিকিৎসা বাবদ সব খরচ এবং চিকিৎসাজনিত জটিলতার যাবতীয় সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রদান করবে। বর্ণিত রোগীর চিকিৎসায় জড়িত সব চিকিৎসকের এবং চিকিৎসা-সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র বিএমডিসিতে প্রেরণ করা হবে। বিএমডিসি হতে চিকিৎসকের নিবন্ধনবিষয়ক সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদালতে চলমান মামলায় অভিযুক্ত চিকিৎসক শাহাজাদী ও চিকিৎসক মুনার যাবতীয় খরচ সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বহনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বিদ্যমান আইনি প্রক্রিয়ায় নিষ্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, অভিযোগ-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। পরবর্তীকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশনার আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) শেখ দাউদ আদনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা দুপুরে সেন্ট্রাল হাসপাতাল পরিদর্শনে যাই। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো সহযোগিতা না করে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। যা কাঙ্ক্ষিত নয়।’