২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ১২:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন
রক্ত মেখে বাসি মাংস টাটকা বলে বিক্রি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৬-২০২২
রক্ত মেখে বাসি মাংস টাটকা বলে বিক্রি

রাজধানীর রামপুরায় জবাইকৃত পশু থেকে সংগ্রহ করা রক্ত বাসি মাংসে মেখে টাটকা বলে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইনসাফ মাংস বিতান নামে এক দোকানের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক অভিযানে এমন প্রতারণা ধরা পড়ে।


অভিযানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ফুড প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিটের (এফপিএমইউ) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল অংশ নেন। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ও যুগ্নসচিব শাহনওয়াজ দিলরুবা খান অভিযানের নেতৃত্ব দেন।


অভিযানের শুরুতেই মাংসের দোকানের মালিক আজিজুল চুন্নু পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক বা জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। তবে বোতলে রাখা রক্ত নষ্ট করে দেয় আভিযানিক দলটি।


দোকানটির কর্মচারী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কয়েকদিন ধরে রক্ত সংরক্ষণ করে রাখি। ওই রক্ত পশুর কলিজা ও মগজে মাখিয়ে রাখি। দেখতে টাটকা লাগলে ক্রেতারা সহজেই মাংস কিনতে আকৃষ্ট হন।’



তিনি আরও বলেন, ‘মালিবাগ রেলগেট সংলগ্ন ছোট ছোট মাংসের দোকানগুলোতে এভাবেই বোতলে ভরে রাখা রক্ত মাংসের গায়ে লাগিয়ে রাখা হয়। এতে মাংসের রঙ ভালো দেখায়।’


এ বিষয়ে অভিযানে নেতৃত্বে দেওয়া শাহনওয়াজ দিলরুবা খান বলেন, ‘মাংসের দোকানে অভিযান চালানোর সময় আমরা বোতলে পুরে রাখা রক্ত দেখতে পাই। ওই রক্ত তারা কলিজা ও মাংসে লাগিয়ে রাখতেন। আমরা সব রক্ত নষ্ট করে দিয়েছি।’


একই এলাকার আল-কাদেরিয়া রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি অন্য কোনো সময় অনিয়ম পেলে রেস্টুরেন্টটি সিলগালা করে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়।


এদিন একই সঙ্গে রামপুরার মায়ের দোয়া নামের একটি দধির দোকানে অভিযান চালানো হয়। ওই দোকানে একই ফ্রিজে শুঁটকি মাছ ও দধি রেখে বিক্রি করার দায়ে দোকানটির সব পণ্য নষ্ট করা হয়। এছাড়া আরও কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়ে সেগুলোর মালিক ও কর্মচারীদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়। এরপর দোকানগুলোতে অনিয়ম পেলে সিলগালা অথবা মোটা অংকের জরিমানা করা হবে বলে জানান শাহনওয়াজ দিলরুবা খান।

শেয়ার করুন