আবদুর রহিম ও নুরে আলমের রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে তারা শোকের মাস শুরু করলো। রহিম, নুরের লাশ উপহার দিয়ে সরকার দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি ও পুলিশ সংর্ঘষের ঘটনা নিয়ে ভোলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গয়েশ্বের চন্দ্র রায় বলেন, এ হত্যায় সরকারের নির্দেশ না থাকলে পুলিশের বিরুদ্ধে এখনো কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? পুলিশ যদি তাদের নিজের গরজে করে থাকে, সরকারের নির্দেশ না থাকে, তবে সরকারের উচিৎ তাদেরকে যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা। এছাড়া নিহতের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিনা কারণে পুলিশের পক্ষ থেক লাঠিচার্জ ও গুলি করা করা হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। ইতিমধ্যেই দুই জন মৃত্যুবরণ করেছে। জনগনের পক্ষ থেকে কথা বলতে গিয়ে সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দুই নেতা জীবন দিয়ে গেলেন।
সেদিন অস্ত্র ছিলো পুলিশের হাতে, বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। সুতরাং তাদের গুলিতেই এই দুই নেতার মৃত্যু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম বলেন, ভোলা একটি শান্তিপ্রিয় জনপদ। আমরা আশা করবো নুরে আলম ও রহিম হত্যার বিচার করবে এই সরকার।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা গুলি তারা (পুলিশ) বুকে করেছে। ডাক্তাররা বলেছে নুরে আলমের মাথায় বুলেট বিদ্ধ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহীম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবদল সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুজ্জামান শীমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম জাবেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর শাহিন, ভোলা জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর, সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপানসহ স্থানীয় নেতারা।
সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিমের স্ত্রী ও সন্তানদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে তারা নিহত আবদুর রহিমের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।