২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:১৫:০০ অপরাহ্ন
নগরীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গুণিজন সম্মাননা প্রদান
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৩-২০২৩
নগরীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গুণিজন সম্মাননা প্রদান

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজশাহীর চেতনা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর উদ্যোগে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গুণিজন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।  শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী নগরীর পদ্মা নদীর ধারে পাঠানপাড়ায় লালনশাহ্ মুক্তমঞ্চে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বর্তমানে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক। এসময় প্রফেসর খালেক বলেন, মার্চ মাসের ৭ তারিখে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিকভাষণ, ১৭ তারিখ জন্মদিন ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। সবকিছুই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল জনগণ। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। তাঁর জন্মদিন মানেই বাংলাদেশের জন্মদিন।

কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হলেও বিশ্বাসঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতা ও সর্বভ্রমত্বকেও হত্যা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তা পারেনি। বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে হত্যা করতে পারেনি। তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলেও এখন মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি বলে মনে করেন তিনি। প্রফেসর খালেক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চেতনা বাস্তবায়নে ও সোনার বাংলা বিনির্মানে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক সোনার দেশের সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। গোটা বিশে^ দেশের গৌরব ও সম্মান বয়ে এনেছেন। তাই বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসলে সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে উঠা যাবে। তাঁকে ভালবাসার মাধ্যমে মানবিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠা সম্ভব। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ অধ্যাপক রুহল আমিন প্রমাণিক, লেখক ও গবেষক হিসেবে ড, তসিকুল ইসলাম রাজা, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান খন্দকার, শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নওশাদ আলীকে গুনিজন সম্মাননা প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন