রাজশাহীতে একটি পুকুর থেকে অপহৃত শিশু আনিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে নগরীর ছোটবনগ্রাম খোরশেদের মোড়ের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির নাম আনিকা (৮)। সে নগরীর নওদাপাড়া এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহমখদুম থানার উপ-পুলিশ কমিশনার নূর আলম বলেন, ঈদ সেলামি দেয়ার কথা বলে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যায় নওদাপাড়ায় থেকে অনিকাকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় সেই রাতেই শিশুটির বাবা থানায় একটি জিডি করেন। এর পর পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারে তদন্তে নামে। তদন্তের পর নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকার শাহিনের ছেলে পলাশের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়। তবে পলাশকে পাওয়া যাচ্ছিলনা। এর পর অনিকাকে উদ্ধার ও পলাশকে ধরতে পুলিশের দুইটি টিম কাজ শুরু করে।
নূর আলম বলেন, ভোর ৪ টার দিকে নাটোরের একটি যাত্রী ছাওনি থেকে পলাশকে আটক করে পুলিশ। এর পর পলাশ পুলিশকে জানায় শিশু আনিকাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে। পরে পলাশকে নিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। সকালে নগরীর ছোটবনগ্রাম খোরশেদের মোড়ের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আইনী পদক্ষেপ শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদ সেলামি দেওয়ার কথা বলে শিশুটিকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় পলাশ। পরে তাকে ধর্ষণ করে গলাটিপে হত্যা করে। সুযোগ বুঝে লাশ পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায় সে। আর কাপড় একটি ঝোপে রেখে দেয়। এছাড়াও অনিকার কানের স্বর্ণের দুল খুলে নিয়ে যায় পলাশ।