বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ফিফার টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশও বহাল রয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে জারি করা রুল তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টকে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাফুফেসহ অন্যদের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা, দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন।
গত ১৪ মে ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতি তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি করে ১৫ মে কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। চার মাসের মধ্যে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একই সঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
পরে গত ২৩ জুন ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। বাফুফেসহ কাজী সালাউদ্দিন ও সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এ আবেদন করেন। তবে ২৫ জুন আবেদন প্রত্যাহার করেন কাজী সালাউদ্দিন। অন্যদের আবেদন শুনে চেম্বার বিচারপতি বাফুফে সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ ফুটবল ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখেন। তবে ফিফার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার বিচারপতি। একই সঙ্গে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগে গতকাল শুনানি হয়।