১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৬:৪১:৩৫ অপরাহ্ন
চিনির দাম বাড়ায় খাওয়া কমেছে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৮-২০২৩
চিনির দাম বাড়ায় খাওয়া কমেছে

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে চিনির দাম। তবে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পণ্যের চাহিদাও কমেছে। এ জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে চিনি আমদানিকারকেরা ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭২ টন চিনি কম আমদানি করেছেন, যা শতকরা হিসাবে ২৪ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই-আগস্টে দেশের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। অথচ চলতি বছরের একই সময়ে সেই চিনির দাম কেজিপ্রতি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। যদিও বাস্তব চিত্র এর চেয়েও ভয়াবহ। বিভিন্ন সময়ে দাম বাড়ার পরও দেখা গেছে বাজার থেকে চিনি উধাও।


এনবিআরের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৪৮৪ টন চিনি আমদানি হয়েছে। অথচ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৬১৩ টন। সরকার রাজস্ব আদায় করেছে ৪ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বছরের ব্যবধানে চিনি আমদানির বিপরীতে রাজস্ব আদায় কমেছে ১৭০ কোটি টাকা। রাজস্ব কমার হার ৪ শতাংশ।


তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ টনের মতো চিনি দেশে উৎপাদিত হয়। বাকি চিনি ভারত, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা হয়।


চিনির দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারা, ডলারের বিনিময় মূল্যবৃদ্ধি এবং আমদানিতে শুল্ক এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়াকে দায়ী করছেন। তবে শুল্কহার কমলে কিংবা আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশের বাজারে কোনো প্রভাব পড়তে দেখা যায় না।


জানা গেছে, বর্তমানে অপরিশোধিত চিনির জন্য প্রতি টনে ৩ হাজার টাকা এবং পরিশোধিত চিনির জন্য প্রতি টনে ৬ হাজার টাকা আমদানি শুল্ক নির্ধারিত আছে। এ ছাড়া নিয়ন্ত্রক শুল্ক (আরডি) ৩০ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ২ শতাংশ নির্ধারিত আছে। নিয়ন্ত্রক শুল্ক কমানো ও আমদানি শুল্ক তুলে দেওয়ার পরও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।


শেয়ার করুন