ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস নেতাদের নির্মূল করলেই গাজায় যুদ্ধ শেষ হবে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিও ইসরায়েল সফরের আগে বলেন, কাতারে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা তাদের জোটকে ব্যাহত করবে না।
নেতানিয়াহু এক্সে বলেছেন, ‘কাতারে বসবাসরত হামাস সন্ত্রাসী প্রধানরা গাজার জনগণের কথা ভাবে না। তারা সব যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছে, যেন যুদ্ধকে অনন্তকাল ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়।
তাদের সরিয়ে ফেলা মানে হবে জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধের সমাপ্তির পথে প্রধান বাধা দূর হয়ে যাওয়া।’
তার মন্তব্যের কিছুক্ষন পরেই রুবিও সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতার হামলা নিয়ে ‘খুশি নন’। তবে এতে দ্বিপক্ষীয় জোট প্রভাবিত হবে না। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সম্পর্কের প্রকৃতি বদলাবে না, তবে মূলত আমাদের আলোচনা করতে হবে, গাজায় যুদ্ধবিরতির কূটনৈতিক প্রচেষ্টার উপর এর প্রভাব কী হতে পারে।
’
মাসের পর মাস ব্যর্থ আলোচনার পরও যুদ্ধবিরতি অধরা থাকায় ইসরায়েল গাজায় তাদের অভিযান জোরদার করেছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েল গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে, যা ওই অঞ্চলের বৃহত্তম নগরী। তারা বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে এবং বহু উঁচু ভবন উড়িয়ে দিয়েছে, যেগুলোকে তারা হামাসের ব্যবহৃত বলে দাবি করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও হামাসের মতে, হাজার হাজার মানুষ শহর ছেড়েছে, তবে অনেকেই এখনো রয়ে গেছে।
আগস্টের শেষ নাগাদ জাতিসংঘ অনুমান করেছিল প্রায় ১০ লাখ মানুষ শহর ও আশেপাশে বসবাস করছেক। তারা সেখানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে এবং এর জন্য ইসরায়েলি সাহায্য সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করেছে।
প্রায় দুই বছরের যুদ্ধজুড়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা অগ্রাহ্য করে আসছে নেতানিয়াহু সরকার, তবে এ সপ্তাহে তা আরো বেড়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ শুক্রবার ইসরায়েলের বিরোধিতা অগ্রাহ্য করে দুই–রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
গাজা যুদ্ধ ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আচরণে বিরক্ত হয়ে ইসরায়েলের মিত্র ব্রিটেন ও ফ্রান্স আরো কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সঙ্গে মিলে, এ মাসে জাতিসংঘের এক বৈঠকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
লন্ডন ও প্যারিস, বার্লিনকে সঙ্গে নিয়ে, গাজা সিটিতে ইসরায়েলের অভিযানের তাৎক্ষণিক সমাপ্তির আহ্বান জানিয়েছে। তবুও ইসরায়েল তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র ও প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ধরে রেখেছ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস নেতাদের নির্মূল করলেই গাজায় যুদ্ধ শেষ হবে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিও ইসরায়েল সফরের আগে বলেন, কাতারে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা তাদের জোটকে ব্যাহত করবে না।
নেতানিয়াহু এক্সে বলেছেন, ‘কাতারে বসবাসরত হামাস সন্ত্রাসী প্রধানরা গাজার জনগণের কথা ভাবে না। তারা সব যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছে, যেন যুদ্ধকে অনন্তকাল ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়। তাদের সরিয়ে ফেলা মানে হবে জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধের সমাপ্তির পথে প্রধান বাধা দূর হয়ে যাওয়া।’
তার মন্তব্যের কিছুক্ষন পরেই রুবিও সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতার হামলা নিয়ে ‘খুশি নন’। তবে এতে দ্বিপক্ষীয় জোট প্রভাবিত হবে না। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সম্পর্কের প্রকৃতি বদলাবে না, তবে মূলত আমাদের আলোচনা করতে হবে, গাজায় যুদ্ধবিরতির কূটনৈতিক প্রচেষ্টার উপর এর প্রভাব কী হতে পারে।’
মাসের পর মাস ব্যর্থ আলোচনার পরও যুদ্ধবিরতি অধরা থাকায় ইসরায়েল গাজায় তাদের অভিযান জোরদার করেছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েল গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে, যা ওই অঞ্চলের বৃহত্তম নগরী। তারা বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে এবং বহু উঁচু ভবন উড়িয়ে দিয়েছে, যেগুলোকে তারা হামাসের ব্যবহৃত বলে দাবি করেছে।