মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্রে চলতি অর্থবছরের চতুর্থ চা নিলামে প্রায় ৮ কোটি টাকার চা বিক্রি হয়েছে।
বুধবার (৮জুন) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে চা নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। আনুষ্ঠানিক এই নিলামে সারাদেশ থেকে ব্রোকার্স ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
দ্বিতীয় এ নিলাম কেন্দ্রে চট্টগ্রামের ৭টি ব্রোকার্স ও শ্রীমঙ্গলের ৪টিসহ শতাধিক বায়ার অংশ নেন। ১১টি ব্রোকার্সের মাধ্যমে ৩০টি বাগানের মোট ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১শ কেজি চা নিলামে তোলা হয়। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে চা বিক্রি হয় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী চা বাগানের চা ২৬১ টাকা প্রতি কেজি।
শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্সের পরিচালক হেলাল আহমদ জানিয়েছেন, শ্রীমঙ্গলের ৪টি ব্রোকার্সের মাধ্যমে ১ লাখ ৭৫ হাজার কেজি তোলা হয়েছে। তারমধ্যে সব চা বিক্রি হয়েছে।
দ্বিতীয় এ নিলাম কেন্দ্রে চট্টগ্রামের ৭টি ব্রোকার্স ও শ্রীমঙ্গলের ৪টিসহ শতাধিক বায়ার অংশ নেন
চট্টগ্রামের প্রগ্রেসিভ ব্রোকার্সের এক্সিকিউটিভ জনি দেব জানান, মৌসুমের চতুর্থ চা নিলামে শ্রীমঙ্গলে বেশি চা বিক্রি হয়েছে। তারমধ্যে কর্ণফুলি বাগানের চা বেশি দামে বিক্রি হয়। তবে আগামী নিলামে চা বিক্রি আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। আমাদের চট্টগ্রামের ৭টি ব্রোকার্সের মাধ্যমে ১ লাখ ৭১ হাজার ১শ কেজি চা তোলা হয় এবং তারমধ্যে সম্পূর্ণ চা বিক্রি হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল নাহার চা বাগানের ব্যবস্থাপক পীষুশ কান্তি ভট্টাচার্য্য জাগো নিউজকে বলেন, চতুর্থ নিলামে আমাদের সিটি গ্রুপের চা বাগান কর্ণফুলি বাগানের চা বেশি দামে বিক্রি হয়। আমরা মনে করি চায়ের গুণগত মান ধরে রাখতে পারলে চায়ের দামও ভালো পাওয়া যায়।
শ্রীমঙ্গল শাওন টি’র পরিচালক জামাল আহমদ জাগো নিউজকে জানান, চা নিলামে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। তবে এই নিলামে উৎসবমূখর পরিবেশ ছিলো। কারণ এর আগে শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে প্রথম দিকে চট্টগ্রামের ব্রোকার্সগুলো ৩/৪টি নিলামে অংশ নিলেও পরবর্তীতে তারা নিলামে রহস্যজনক কারণে অংশগ্রহণ করেননি। চলতি বছরের চতুর্থ নিলামে চট্টগ্রামের সাতটি ব্রোকার্স অংশগ্রহণ করায় দেশের ভালো চা বাগানের গুণগতমানের চা নিলামে তোলা হয়। যার ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকার বায়াররা অংশ নেওয়ার কারণে আমরা খুশি।