১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৫:২৪:৪৬ অপরাহ্ন
বিয়ের খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে অ্যাসিডে ছুরে ঝলসে দেন কোনের মুখ সাবেক স্বামী: পুলিশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৮-২০২৩
বিয়ের খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে অ্যাসিডে ছুরে ঝলসে দেন কোনের মুখ  সাবেক স্বামী: পুলিশ

মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় বেকার স্বামীকে তালাক দেন গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার (২০)। এরপর আরেকজনের সঙ্গে তাঁর বিয়েও ঠিক হয়। আর এই খবরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাবেক স্বামী সুমন শিকদার (২৫)। প্রতিশোধ নিতে অ্যাসিড ছুড়ে ঝলসে দেন সাদিয়ার মুখ। সুমনকে গ্রেপ্তারের পর মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনের এসব তথ্য জানান। 


গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুরের শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরচর এলাকা থেকে সুমন শিকদারকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সুমন উপজেলার মাদবরের চর এলাকার সিরাজ শিকদারের ছেলে। 


দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, সুমন শিকদারের সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে হয় একই এলাকার লিটু হাওলাদারের মেয়ে সাদিয়ার। তাঁদের এক শিশুকন্যা সন্তানও রয়েছে। সংসার জীবনের শুরু থেকেই সুমনের কাজে অনীহা ও মাদকসেবী হওয়ার কারণে বিবাদ লেগেই ছিল। একপর্যায়ে সাদিয়া তাঁকে তালাক দেন। পরে আবার তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। এ কথা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সুমন। 


১৬ আগস্ট রাত ১০টার দিকে সুমন সাদিয়ার শরীরে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। অ্যাসিডে সাদিয়ার মাথা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। পরে স্বজনেরা সাদিয়াকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করান। সাদিয়া সেখানে চিকিৎসাধীন। 


পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও বলেন, ঘটনায় পরদিন ১৭ আগস্ট সকালে সাদিয়ার বোন তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। এরপর পালিয়ে যান সুমন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিরচর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিকভাবে আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ছাড়াও তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন সহযোগী ছিলেন। তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


শেয়ার করুন