১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৭:৩৯:২১ অপরাহ্ন
ধরাছোঁয়ার বাইরে এখনও এমটিএফই অ্যাপের রাজশাহীর মূল হোতারা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৯-২০২৩
ধরাছোঁয়ার বাইরে এখনও এমটিএফই অ্যাপের রাজশাহীর মূল হোতারা

রাজশাহীতে এমটিএফই অ্যপের মাধ্যমে প্রতারণার ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে রাজশাহীর আদালতে মামলা হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে রাজশাহীর মূল হোতা ও তাদের সহযোগীরা বলে অভিযোগ উঠেছে।


এদের মধ্যে এমটিএফই এর রাজশাহী বিভাগীও প্রধান রাজশাহী রাজপাড়া এলাকার ডালুর ছেলে সবুজ ও তার স্ত্রী সিইও আশা মনি ও তাদের অন্যতম সহযোগী এমটিএফই এর সিইও রাজপাড়া এলাকার খোকোনের ছেলে আব্দুর রহমান বিপ্লব ও তার স্ত্রী সিইও সুমি।


জানা গেছে, এমটিএফই অ্যাপে বিনিয়োগ নিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে ২৩ জুলাই আইনজীবী জহুরুল ইসলাম রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন। এতে ‘এমটিএফই’ ছাড়াও ‘আলটিমা উইলেট’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার কথা উল্লেখ করা হয়। আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান আরজিটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নগরের রাজপাড়া থানার ওসি তদন্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনটি সংস্থার তিনজন কর্মকর্তাকে যৌথভাবে এই মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পর দিন মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়।


গত ২৪ আগষ্ট বুধবার দিবাগত রাতে এমটিএফই অ্যাপ ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে। পর তাদের আদালতে চালান দিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়।


গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে লতিফুর বারী (৪২) ও রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বিষহারা গ্রামের দিজেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে দিপেন্দ্রনাথ সাহা (৪৩)। এদের মধ্যে দিপেন্দ্রনাথ মোহনপুর উপজেলার খালমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। গ্রেপ্তার লতিফ ও দিপেন্দ্রনাথ এমটিএফইর সিইও পদে ছিলেন। তারা দুইজনই রাজশাহী শহরে বসবাস করতেন।


রাজপাড়া এলাকার ফিরোজ নামের এক যুবক অভিযোগ করেন, এমটিএফই অ্যপের রাজশাহী বিভাগের প্রধান রাজপাড়া এলাকার ডালুর ছেলে সবুজ ও তার স্ত্রী সিইও আশা মনি ও তাদের অন্যতম সহযোগী এমটিএফই এর সিইও রাজপাড়া এলাকার খোকোনের ছেলে আব্দুর রহমান বিপ্লব ও তার স্ত্রী সিইও সুমির মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়। মামলা হওয়ার পর থেকে সবুজ ও বিপ্লব পলাতক রয়েছে। কিন্তুু সবুজের স্ত্রী আশা মনি সিইও ও বিপ্লবের স্ত্রী সুমি এলাকাতে থাকলেও তাদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ।


তিনি আরো বলেন, সবুজের পিতা ও মাতা এমটিএফই অ্যপের সিইও এবং বিপ্লবের স্ত্রী সুমি সিইও তারা এলাকাতে আলিশান ভাবে জীবন যাপন করছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের তাদের বিষয় জানালেও তাদের গ্রেপ্তার করছে না। তাদের গ্রেপ্তার করলে সবুজ ও বিপ্লব হাজির হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।


এ বিষয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এসআই শিমুল কুমার বলেন, এমটিএফই অ্যপের সাথে জড়িতো চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যানদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।


এ বিষয় আরএমপি মিডিয়া মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের উপরে নির্ভর করে। এ বিষয় ওই মামলার আরএমপির যে তদন্ত কর্মকর্তা অছে তার সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানা যাবে যে, কেন তাদে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।


শেয়ার করুন