গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে আবারও কারাগারে যেতে হবে। পরে আদালতে আবেদনের পর অনুমতি পেলে তখনই তিনি বিদেশ যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্রে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন।
বিএনপি প্রধানের বিদেশে পাঠানোর বিষয় নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'এখন যদি তাদের বাইরে যেতে হয় তাহলে এখন যে আমি সাজা স্থগিত করেছি, তাকে বাসায় থাকার পারমিশন দিয়েছি সেটা আমাকে উইথড্র করতে হবে। তাকে আবার জেলে যেতে হবে এবং কোর্টে যেতে হবে। কোর্টের কাছে আবেদন করতে হবে। কোর্ট যদি রায় দেয় তখন সে যেতে পারবে। '
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফের আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়। শিগগিরই এ ব্যাপারে মতামত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হয়। পরে দুদকের আরও একটি মামলায় তার দণ্ড হয়। সেই সময় থেকে বেশ কিছুদিন পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে রাখা হয়।
পরবর্তিতে দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হলে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এজন্য রাজনীতিতে সক্রিয় না হওয়া এবং চিকিৎসা নিতে বিদেশে না যাওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।