ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো থাকায় দুই দেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় অনেকটা কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেটে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন নীতিতে কাজ করছে। দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। সম্পর্ক ভালো থাকায় দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয় অনেকটা কমে গেছে।
বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে ভিসামুক্ত সম্পর্ক চায় বলেও জানিয়েছেন এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, এবারের সংলাপে একটাই চাওয়া—ভারত ও বাংলাদেশের কোনো জটিলতা যেন না থাকে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক যেন ভিসাবিহীন হয়।
গতকাল বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এবং উভয় দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ব্যবসা উন্নয়নের স্বার্থে ১১তম সংলাপ শুরু হয়। গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে এ সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত এ সংলাপের উদ্বোধনী আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ভারতের সংসদ সদস্য ভিনসেন্ট পালা, সাবেক মন্ত্রী এম জে আকবর ও ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ সংলাপ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়াবে। দুই দেশের সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই নীতি বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে।
ভিনসেন্ট পালা বলেন, বাংলাদেশ ‘গুড গভর্নেস’ তৈরিতে অনন্য নজির স্থাপন করেছে। দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমান সরকার অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে।