ঢাকাই ছবির দুই নায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খানের থাপ্পর কাণ্ড নিয়ে এখন সরগরম বিনোদনপাড়া। অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানকে প্রকাশ্যে থাপ্পর মারেন ওমর সানী।
তার অভিযোগ ছিল স্ত্রী মৌসুমীকে ‘ডিস্টার্ব’ করেন জায়েদ। তবে ওমর সানীর এমন অভিযোগের একদম বিপরীত বক্তব্য দিয়েছেন মৌসুমী। তিনি বলেছেন, জায়েদ তাকে ডিস্টার্ব করেনি।
মৌসুমী এমন বক্তব্য দেওয়ার পর ওমর সানী বলেছিলেন, বিষয়টি যেন তার ছেলে ও মেয়েকে জিজ্ঞেস করা হয়। তারাও জানে এ ব্যাপারে।
আর এরপরই জায়েদ খান- ওমর সানীর থাপ্পর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন মৌসুমী-সানীর ছেলে ফারদিন। তিনিও জায়েদ খানের প্রতিই বিভিন্ন অভিযোগ জানিয়েছেন।
রোববার সকালে ওমর সানী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি ততক্ষণ পর্যন্ত নীরব থাকি, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার আত্মসম্মানে আঘাত না লাগে।’
স্ট্যাটাসটি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঝড়ের বেগে প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। হাজার হাজার লাইক পড়ে। করা হয় প্রায় অসংখ্য মন্তব্যও।
ফেসবুক পোস্ট প্রসঙ্গে ওমর সানী বলেন, আমি স্ট্যাটাসে যা লিখেছি, দিয়েছি, সেটা মানি। আমি পেছনে কথা বলি না। অনেকেই আছেন, শত্রু-মিত্র দুই জায়গায় গিয়েই ‘ভাই, ‘ভাই’ করেন। এই কাজ করিনি। সোজাসাপটা মানুষ আমি।
এ ধরনের ঘটনা প্রশ্রয় দেবেন না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার মানুষ। তাই বলে তো বেয়াদবিকে প্রশ্রয় দেব না, কখনোই না। এ ধরনের বেয়াদবিকে সাইজ করা শুরু করলাম, সামনে আরও হবে।
চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের অভিমত-ওমর সানী-মৌসুমীর আলাদা আলাদা বক্তব্যে এটা প্রতীয়মান হয় যে, তাদের সংসারে অশান্তির হাওয়া বইছে। তবে কী সেটা শুধু জায়েদ খানকে নিয়ে? এমন প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।
জানা গেছে, এই তারকা দম্পতি রাজধানীর গুলশানের একটি বাসায় একই ছাদের নিচে বসবাস করলেও গত দেড় বছর ধরে তাদের মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব রয়েছে। তাদের সংসারে জায়েদ খানের উপস্থিতি বেশিদিনের নয়।
কারণ মাত্র দুই বছর আগেও জায়েদ-সানী সম্পর্ক ছিল ‘সাপে নেউলের’ মতো। গত বছরের ডিসেম্বরে শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলেছিল। একসঙ্গে সিনেমায় কাজও করেছেন। কিন্তু এক বছরের মাথায় আবারও শুরু হলো দ্বৈরথ।