চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও ওমর সানীর চড়-পিস্তল কাণ্ড এবং এ ঘটনায় নায়িকা মৌসুমীর বিবৃতি নিয়ে আলোচনা সমালোচনার মধ্যে এই দম্পতির ছেলে ফারদিন বলেছেন, সব ঠিক হয়ে যাবে।
খলঅভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে জায়েদ খানকে সানীর চড় এবং জায়েদের পক্ষ নিয়ে নায়িকা মৌসুমীর বিবৃতিতে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।
এ ঘটনায় ফারদিন সোমবার রাতে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘দুশ্চিন্তা করতে হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।’
সোমবার জায়েদ খানের পক্ষে মৌসুমীর একটি অডিও বার্তা প্রকাশ্যে আসার পর ফেসবুক লাইভে এসে ওমর সানী বলেছিলেন, বিষয়টি নিয়ে তার ‘অভিভাবক’ ফারদিন কথা বলবেন।
এরপরই ফারদিনের এ মন্তব্য আসে ফেসবুকে; ফারদিনের পোস্টটি ফেইসবুকে শেয়ারও করেছেন ওমর সানী।
সূত্রগুলো বলছে, মৌসুমীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই খলঅভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়েতে গিয়ে সানী জায়েদ খানকে চড় দেন। তিনি শিল্পী সমিতিতে গিয়ে তার নামে নালিশও করেছেন।
ওমর সানীর অভিযোগের পর দেশব্যাপী যখন সমালোচনার ঝড় বইছে ঠিক তখন মৌসুমী মুখ খুললেন। গতকাল সোমবার জানিয়েছেন, ওমর সানী আসলে মিথ্যা বলছেন! এক অডিও বার্তায় মৌসুমী বলেন, ‘আমি মনে করি আমার প্রসঙ্গটা টানার কোনো প্রয়োজন ছিল না। আমি জায়েদকে অনেক স্নেহ করি, সেও আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে। আমাদের মধ্যে যতটুকু কাজের সম্পর্ক, সেটা খুবই ভালো একটা সম্পর্ক। সেখানে সে আমাকে অসম্মান করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। ওর মধ্যে ভালো গুণ ছাড়া এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে এমন কিছুই আমি দেখিনি। তারপর বলব, সে অনেক ভালো ছেলে। সে কখনোই আমাকে অসম্মান করেনি।’ ওমর সানীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনিও বলেন, ‘কেন এই প্রশ্নটা বারবার আসছে, সে (জায়েদ খান) আমাকে বিরক্ত করছে, উত্ত্যক্ত করছে! এই জিনিসটা আমার আসলে... জানি না এটা কেন হচ্ছে। এটা যদিও একান্ত আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। সে সমস্যা আমাদের পারিবারিকভাবেই সমাধান করা দরকার ছিল।’
অডিও বার্তায় স্বামী ওমর সানীকে ভাই বলে সম্বোধন করে মৌসুমী বলেন, ‘আমি মনে করি, এখানে জায়েদের খুব একটা দোষ আমি পাইনি। আরেকটা কথা বলতে চাই, আমাকে ছোট করার মধ্যে আমাদের... যাকে আমরা অনেক শ্রদ্ধা করে আসছি সেই ওমর সানী ভাই কেন এত আনন্দ পাচ্ছেন-সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমার কোনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই আমার সঙ্গে সমাধান করবে, সেটিই আমি আশা করি। তিনি (ওমর সানী) আসলে একতরফা বলেছেন, কিন্তু আমি বলেছি কিনা, আমি অভিযোগ করেছি কিনা; জানাটা খুব বেশি জরুরি ছিল।’
এদিকে মৌসুমীর অডিও বার্তা প্রকাশের পরপরই ওমর সানী ফেসবুক লাইভে এসে আবারও নিজের অভিযোগের পক্ষে অটল থাকেন। এজন্য ছেলে ফারদিন ও মেয়ে ফাইজাকে অভিভাবক মেনে সাক্ষী হিসাবে দাঁড় করানোর কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি যা বলেছি স্পষ্ট করেই বলেছি। আমি শ্রদ্ধা রেখেই কথা বলতে চাই। আমার পরিবারের প্রতি, মৌসুমীর প্রতি আমার প্রচণ্ড শ্রদ্ধা আছে। আমার ছেলেমেয়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। সে (মৌসুমী) যা বলেছে, কী ভেবে বলেছে আই ডোন্ট নো। এ বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন ধরে একটু দূরত্ব তো চলছিল। আমি তার ব্যাপারে মন্দ কথা, খারাপ কথা কিছুই বলব না। কারণ সে এখনো আমার স্ত্রী। আমার সন্তানের মা। একটা কথা বলতে চাই, আমি কী বলেছি না বলেছি সম্পূর্ণ আমার ছেলে ফারদিন, আমার মেয়ে ফাইজা জানে। আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ প্রমাণ আছে জায়েদ খান যে মৌসুমীকে ডিস্টার্ব করেছে। ফারদিন বলুক আর ফাইজা বলুক তাদের মায়ের সম্পর্কে। আমার ছেলেমেয়েরা কথা বলুক এ বিষয়গুলো নিয়ে। তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে। আমি কিছু বলতে চাই না।’