হামাস-ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধের কারণে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, এই সংকট ছড়িয়ে পড়তে পারে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের আশপাশের দেশগুলোতে। এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিভিন্ন স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। পাশাপাশি এসব অবস্থান বা ঘাঁটিতে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করা হবে শিগগিরই।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কেবল প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করা নয়, প্রয়োজনে শিগগিরই অতিরিক্ত সৈন্য পাঠানো হবে এসব ঘাঁটিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান ও তার যেসব প্রক্সি বাহিনী রয়েছে, তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কবে থেকে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করা হবে বা কী পরিমাণ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়ে লয়েড অস্টিন কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে গাজা নিয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার। এরই মধ্যে হামাসের বিরুদ্ধে তিন ধাপের যুদ্ধ পরিকল্পনাও নির্ধারণ করা হয়েছে। এই তিন ধাপ যুদ্ধের উদ্দেশ্য গাজায় একটি ‘নতুন নিরাপত্তা শাসনব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এই পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন।
গ্যালান্ত জানিয়েছেন, গাজায় হামাসের সরকারব্যবস্থা, সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে তিন ধাপে যুদ্ধ পরিচালনা করা হবে। এর মধ্য দিয়ে হামাসকে নির্মূল করা হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধের যে বর্তমান ও প্রথম ধাপ চলছে, সেখানে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ও তাদের অবকাঠামোকে ধ্বংস করা হবে।
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটির সামনে গ্যালান্ত জানান, পরবর্তী ধাপগুলো কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসে শেষ হয়ে যাবে এমনটা ভাবা যাবে না। তবে এই তিন ধাপ যুদ্ধের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো—‘এই অঞ্চলে (গাজায়) একটি নতুন নিরাপত্তা শাসনব্যবস্থা গঠন করে গাজার ওপর ইসরায়েলের দায়বদ্ধতা অপসারণ করা।’ গ্যালান্ত বলেন, ‘গাজায় সামরিক অভিযান ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য একটি নতুন নিরাপত্তা বাস্তবতা প্রতিস্থাপন করবে।’