১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৩৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
নির্বাচনের ট্রেন চলে গেলে হা-হুতাশ করে লাভ হবে না : খায়রুজ্জামান লিটন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২৩
নির্বাচনের ট্রেন চলে গেলে হা-হুতাশ করে লাভ হবে না : খায়রুজ্জামান লিটন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ঘোলা করতে এবং দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে বিএনপি ২৮ অক্টোবর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামী ২৮ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে, সেই পাঁয়তারার দাঁতভাঙা জবাব দেবার জন্য আওয়ামী লীগ সারাদেশে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। রাজশাহীও তার ব্যতিক্রম নয়। আমি রাজনৈতিক কারণে আজকে (বুধবার) ঢাকায় যাচ্ছি। ঢাকায় উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ হবে, সেখানে অংশগ্রহণ করবো।


তবে রাজশাহীকে অরক্ষিত রেখে যাচ্ছি না। রাজশাহীকে যারা সুরক্ষিত রাখবে সে সকল নেতাকর্মীরা আমার সামনে উপস্থিত আছে। তারা প্রস্তত থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়, কাজলা ও বিনোদপুর এলাকা এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জিরোপয়েন্ট থেকে শুরু করে রেলস্টেশন, কোর্ট চত্বর, লক্ষ্মীপুর চত্বর এবং তালাইমারি চত্বর এই জায়গাগুলোতে আমাদের দিনব্যাপী অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। আমরা কোন সংঘাতে বিশ্বাস করি না। আমরা সংঘাতে যেতেও চাই না। আমরা রাজনৈতিক বক্তব্য রাখবো, নেতারা বক্তব্য দেবেন, সবাই শুনবে। যদি এর মধ্যে কোন খবর আসে যে তারা কোথাও কোন অস্থিরতা করেছে বা রাজশাহীতে কোন কিছু করার পাঁয়তারা করছে, তাহলে দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে তা রুখে দিতে হবে।


আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মসূচির প্রতিবাদে বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে রানীবাজারস্থ জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এঁর রাজনৈতিক কার্যালয় চত্বরে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।


আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি এই জাতীয় কর্মসূচি গত ৭ বছরে অনন্ত একশবার দিয়েছে। তাদের প্রত্যেকবার কথা থাকে ‘এইবার আলটিমেটাম দেওয়া হবে চূড়ান্ত এবং সরকারের পতন নিশ্চিত না করে ঘরে তারা ঘরে ফিরে যাবে না।’ তাই আমি প্রশ্ন করতে চাই তারা কি এতোদিন রাজপথে শুয়ে ছিল? যদি বাড়িতেই না ফিরে তাহলে তারা রাতের বেলা কোথায় ছিল? সেটা পুলিশের খোঁজ নেওয়া দরকার। তারা আসলে রাতে কী করে বেড়ায়?


আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বারবার বলেছে, ‘আমরা কারো দয়ায় ক্ষমতায় নাই।’ বিএনপি সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছে, দেখুক। কিন্তু আমরা থাকতে তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হবে না ইনশাল্লাহ। আগামী দিনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। সেই তফসিল অনুযায়ী আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকবো এবং আবারো নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবো ইনশাল্লাহ।


বিএনপি‘র উদ্দেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বিএনপি সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্বাচনে আসবেন এই স্বপ্ন দেখা বাদ দিয়ে ভদ্রলোকের মতো যদি নির্বাচনে আসেন, তবুও হয়তো জনগণের দয়ায় কিছু আসন পেলেও পেতে পারেন। গতবারের চেয়ে বেশি আসনও পেলেও পেতে পারেন। কিন্তু নির্বাচন বর্জন করবেন, একবার নির্বাচনের ট্রেন চলে গেলে আর হা-হুতাশ করে লাভ হবে না। কেউ আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে না। এমনি আপনাদের নেতা পলাতক হয়ে লন্ডনে আছে। নেত্রী তো বয়সে ও শারীরিক কারণে অসুস্থ্য হয়ে আছে। কে দেবে আপনাদের নেতৃত্ব?  তাই হাটুভাঙা বিএনপিকে জনগণ ক্ষমতায় আনতে চায় না, আনবেও না। কারণ তারা এরআগে ভালো কিছু করে দেখায়নি, আর ভালো কিছু তারা করতেও পারবে না।’


রাসিক মেয়র লিটন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আমাদের নিয়ে যাচ্ছেন। ক্রমশ আরো ৫টি বছর, তারপর আরো ৫টি বছর আমরা উন্নয়ন করতে চাই। আমরা স্বাধীনতা এনেছি, আমরা দেশের কল্যান করেছি। আমরাই বাংলাদেশের উন্নয়ন দিচ্ছি, জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে আমরা এটি অব্যাহত রাখবো ইনশাল্লাহ।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব প্রমুখ।


শেয়ার করুন