যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়ায় ও গাজায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রাখায়, ইসরাইলে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে তুরস্ক। এ ছাড়া ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে দেশটি।
শনিবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত ওজকান তোরোনলারকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে— ‘গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় সৃষ্টি মানবিক বিপর্যয়’ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। এ ছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়ায়ও রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজধানী আঙ্কারায় যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের। মার্কিন মন্ত্রীর সফরের আগ মুহূর্তে ইসরাইল থেকে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে তুরস্ক।
২০১০ সাল থেকে তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলের সঙ্গে সেসব দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছিল আঙ্কারা। কিন্তু গত মাসে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর সব কিছু পাল্টে যায়।
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ইসরাইলের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সাম্প্রতিক জনসভা ও সংবাদ সম্মেলনগুলোতে ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
শনিবার তিনি জানান, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তারা। তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহুর সঙ্গে আমরা আর কোনো কথা বলি না। আমরা তাকে বাদ দিয়ে দিয়েছি।’