১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:০০:১৪ অপরাহ্ন
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিচারের দাবি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১১-২০২৩
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিচারের দাবি

কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হামলায় গুরুত্বর আহত আরাফাতের হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। রোববার রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি তুলে তার পরিবার।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আরাফাতের বড় ভাই হুমায়ন কবীর। তিনি বলেন, আরাফাতের উপর হামলার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রধান আসামি সিহাব ও তার সহযোগিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। আমার পরিবারের অনন্য সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ও উদ্বিগ্নের মধ্যে দিন পার করছি। প্রশাসনের কাছে আমরা দাবি করছি, দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।


তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের লিডার সিহাবের নেতৃত্বে বিজয়, মোহাম্মদ আলী, ফয়সাল, রহিদুল, শরিফ, সোহাগ, শিমুল, রিয়াজসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আমার ছোট ভাই আরাফাত ও তার বন্ধু সাব্বিরের উপর হামলা করে। শাহমখদুম থানাধীন পবা নতুনপাড়াস্থ একজনের বাড়ি থেকে পাওনা টাকা নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে আরডিএ মাঠের সামনে তারা হামলা শিকার হয়। তাদের পথরোধ করে জোরপূর্ব তুলে টিটুর আমবাগানের মধ্যে নিয়ে যায়।


এসময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সিহাবের নেতৃত্বে আমার ছোট ভাইকে দেশীয় জিআই পাইপ, হাতুড়ি, হাসুয়া দিয়ে এলোপাথারী ভাবে আঘাত করে। সিহাব ও বিজয় তাদের হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে প্রথমে আমার ছোট ভাই আরাফাতের মাথার বাম পাশে সজোরে আঘাত করে খেতলানো গুরুতর জখম করে এবং ভিকটিম সাব্বিরের মাথার বাম পাশে ও মুখে সজোরে আঘাত করে রক্তাক্ত ও জখম করে।


এতে তারা মাটিতে পড়ে গেলে অন্যান্য আসামিরা হাতে থাকা জিআই পাইপ ও হাসুয়া দিয়ে এলোপাথারি ভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ছিলাফোলা জখম করে।


পরবর্তীতে আমার ভাই ও তার বন্ধুর চিৎকার শুনে আশপাশে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে এবং আমার ছোট ভাই আরাফাতকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আইসিইউতে নেওয়া হয়।। বর্তমানে সে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে।


গত ২৭ শে অক্টোবর এই ঘটনার পরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যমে হামলার শিকার আমার ছোট ভাই আরাফাতকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমার ভাই কোন কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত নয়।


শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, আরাফাতের পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা সবাই পলাতক। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


শেয়ার করুন