গাজার অবরুদ্ধ উপত্যকায় বোমা হামলা বন্ধ করতে পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই।
সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বার্তায় পাকিস্তানের এই নারী শিক্ষা কর্মী জানান, গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির খবরে সেখানকার নারী ও শিশুদের জন্য কিছুটা স্বস্তিবোধ করছেন তিনি।
পাকিস্তানে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তালেবানের হামলার শিকার হন মালালা। তবে সেই যাত্রায় বেঁচে যাওয়ার পর বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। পরে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়েছে।
তবে গাজার এই সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই বলেও জানান মালালা। কারণ আবারও সেখানে বোমা হামলা চালাবে ইসরাইল।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে মালালা বলেন, আগামীকাল প্রিয়জনের শোক নিয়েই গাজার শিশুরা আবারও জেগে উঠবে। আবারও খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট দেখা দেবে। বাড়ি, রাস্তা এবং স্কুলে আবারও হামলার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠবে শিশুরা।
তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই তাদের পক্ষে কথা বলতে হবে। একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও আরও মানবিক সহায়তা প্রয়োজন এবং এই দুর্ভোগের অবসান হওয়া উচিত।
এর আগে শুক্রবার হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, চার দিনে ৫০ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিরতির প্রথম দিন মুক্তি পাবেন ১৩ জন। চুক্তির শর্ত মেনে, ১৩ ইসরাইলি নারী-শিশুকে ছেড়ে দিয়েছে হামাস।
চুক্তি অনুযায়ী, ৩৯ ফিলিস্তিনি নাগরিককে ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৩৯ ফিলিস্তিনি নাগরিকের মধ্যে ২৪ নারী ও ১৫ তরুণ রয়েছেন। অধিকৃত পশ্চিমতীরের বেইতুনিয়া চেকপয়েন্ট দিয়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
আগামী তিন দিনে হামাসের কাছ থেকে ছাড়া পাবেন আরও ৩৭ ইসরাইলি। তা ছাড়া শুক্রবার শুধু ১৩ ইসরাইলিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও আশ্চর্যজনকভাবে ১২ থাই নাগরিককেও মুক্তি দিয়েছে হামাস।
অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির চার দিনে ইসরাইল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।