নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রাজশাহী-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে কমিটির চেয়ারম্যান রাজশাহীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয় আদালত) মো. আবু সাঈদের কার্যালয়ে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিতভাবে নিজের বক্তব্য পাঠান ওমর ফারুক চৌধুরী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লিখিত বক্তব্যে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন যে, আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ার মতো কোন নির্বাচনী সমাবেশ তিনি করেননি। তারপরও যদি বিষয়টিকে আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে মনে হয়, তাহলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইছেন। ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষে তাঁর আইনজীবী এজাজুল হক মানু চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে এই লিখিত জবাব দিয়ে এসেছেন।
কমিটি এই জবাব গ্রহণ করলেও ভবিষ্যতে যাতে ওমর ফারুক চৌধুরী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করেন, তার জন্য তাঁকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে সতর্ক করে একটি চিঠি দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এর আগে গত শনিবার বিকালে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী তানোর পৌরসভার গোকুল ও বুরুজ এলাকায় সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির উপকারভোগীদের নিয়ে দুটি সমাবেশ করেন। এসব সমাবেশ থেকে তিনি আসন্ন নির্বাচনে সবাইকে নৌকার পক্ষে থাকার আহ্বান জানান। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দের আগে এ ধরনের সমাবেশ নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।
এ জন্য পরদিন রোববার এই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান রাজশাহীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয় আদালত) মো. আবু সাঈদ ওমর ফারুক চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এতে মঙ্গলবার তাকে ওই সভা দুটির বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়।