খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে প্রসীতপন্থি ইউপিডিএফের চারজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে পানছড়ি উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর এলাকায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সঙ্গে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ৫৫ থেকে ৬০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়।
নিহতরা হলেন— গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা, পিসিপির সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিনসা ত্রিপুরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, আজ ওই এলাকায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে যোগ দিতে এই চার নেতা সেখানে অবস্থান করছিলেন। রাতে তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ইউপিডিএফ সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, নীতিদত্ত চাকমাসহ তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান তিনি।
নিহতদের মধ্যে বিপুল চাকমার বাড়ি চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধনপাড়ায়। সুনীল ত্রিপুরার বাড়ি মাটিরাঙা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যানপাড়ায়। লিটন চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের দ্রোনচার্য্য কার্বারিপাড়ায়। রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা পানছড়ির উপল্টাছড়ি ইউনিয়নের পদ্মিনীপাড়ায়।
এ ঘটনায় আরও নিখোঁজ রয়েছেন ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংগঠনিক কাজের জন্য বিপুল চাকমাসহ ওই ৭ নেতাকর্মী গতকাল লোগাঙ এলাকায় যান। তারা রাতে অনিলপাড়া নামক গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় রাত আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে দুর্বৃত্তদের একটি সশস্ত্র দল ওই বাড়িতে হানা দিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায়। হত্যার পর দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে চলে যায়।
তবে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা বলেন, পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে। তারা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা আমাকে জানিয়েছে। আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।