রাজশাহীতে দুইজন সংসদ সদস্যসহ চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববার তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
এরা হলেন- রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৫ আসনের এমপি ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী-৫ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ও রাজশাহী-৬ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী রিপন আলী।
রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, মোট ৪৪ জন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে চারজন প্রত্যাহার করেছেন। এখন প্রার্থী থাকলেন ৪০ জন। যাদের মধ্যে ছয়জন আপিল করে প্রার্থীতা ফেরত পেয়েছেন।
এমপি আয়েন উদ্দিন ও ডা. মনসুর রহমান এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে তারা শেষ পর্যন্ত নৌকাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেলেন। জাকের পার্টি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে সব আসনের প্রার্থী প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে। তাই দলটির রাজশাহীর দুজন প্রার্থীও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, যাচাই-বাছাইয়ে রাজশাহীর ছয়টি আসনের ২২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন তিনি। এর বিরুদ্ধে আপিল করে করে ছয়জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। তারা হলেন- রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, রাজশাহী-৩ আসনের মুক্তিজোটের প্রার্থী এনামুল হক, রাজশাহী-৪ আসনের এনপিপির প্রার্থী জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল হোসেন, রাজশাহী-৫ আসনের বিএসপির প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোল্লা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান।
রিটার্নিং কর্মকর্তার হিসাবে, রাজশাহীতে এখন বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৪০ জন। এরমধ্যে রাজশাহী-২ আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশাকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে চিঠি দিয়েছে ১৪ দলীয় জোট। তাই প্রতীক বরাদ্দের দিন ফজলে হোসেন বাদশাকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। তখন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের প্রার্থিতা বাতিল হবে। তখন রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৯ জন।
আপিলের মাধ্যমে ছয়জন প্রার্থী প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার কথা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানালেও রাজশাহী-১ আসনে আরেক প্রার্থীর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি। এ আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তা পাননি।
তিনি বলেন, এ ধরনের কোন আদেশ এখনও তিনি পাননি। আদেশ পেলে প্রার্থীর সংখ্যা একজন বাড়বে। সোমবার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এরপরই নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে বলেও জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।