১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৩০:৩৯ পূর্বাহ্ন
চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছিলেন শিবলিরা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১২-২০২৩
চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছিলেন শিবলিরা

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে আশিকুর রহমান শিবলি লাফ দিয়ে যেন আকাশ ছুঁতে চাইলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এশিয়া কাপের ফাইনাল দেখতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিরা হর্ষধ্বনিতে অভিনন্দন জানাতে থাকলেন তাঁকে। সেঞ্চুরির পর সিজদা দেওয়ার আগে আম্পায়ারের কাছে কী যেন শুনতে চাইলেন। শিবলির পুরো উদ্‌যাপনই শুধু দেখার মতো হলো না, দেখার মতো তাঁর ব্যাটিংও। পুরো টুর্নামেন্ট রাঙিয়ে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট পুরস্কার জিতেছেন এই যুবা।


ফাইনালে এমনই একটা অদৃশ্য চাপ থাকে সব দলের। ২০১৮ সালে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা তো এখনো ভোলার নয় বাংলাদেশের। অবশ্য ২০১৮ সালে ফাইনালে যারা বাংলাদেশকে কাঁদিয়েছিল, সেই ভারতকে এবার বিদায় করা গেছে সেমিফাইনালে। শেষ চারের লড়াইয়ে বড় বাধা টপকে যাওয়ায় কাল ফাইনালে স্বাগতিক আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেন খেলেছিল নির্ভার মনে।


স্বাগতিকদের যেখানে দর্শকের কোনো সমর্থন নেই, সেখানে বাংলাদেশ যুবাদের খেলা দেখতে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি এসেছেন। আর তাতে শিবলির ব্যাট যেন হেসেছে মন খুলে! দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দুটি জুটি গড়েছেন রিজওয়ান ও আরিফুলের সঙ্গে। তুলে নিয়েছেন টুর্নামেন্টের নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আর তাতেই বাংলাদেশ পেয়েছে বড় স্কোর।


২ ফিফটি আর ২ সেঞ্চুরিতে শিবলি করেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৩৭৮ রান। ফাইনালের নায়ক তিনি, পুরো টুর্নামেন্টেই সেরা খেলোয়াড়। মরুতে যুবাদের এশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে যেন শিবলি-সৌরভ এতটাই ছড়াল, তাতে মোহিত সবাই। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শিবলি অবশ্য নিজের প্রাপ্তি নিয়ে বললেন সামান্যই, ‘সর্বপ্রথম আলহামদুলিল্লাহ। সব কৃতিত্ব আল্লাহর। আমি চেষ্টা করেছি ভালো করার। বল সহজে ব্যাটে আসছিল। আমার সতীর্থরা খুব ভালো সমর্থন দিয়েছে। ইনশা আল্লাহ সেখানেও (অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ) ভালো কিছু করব।’


বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বীর প্রশংসা পেলেন শিবলি। রাব্বী আসলে কৃতিত্ব দিলেন পুরো দলকেই, ‘ভালো খেলার জন্য সতীর্থদের ধন্যবাদ। আমরা ম্যাচ জয়ের পরিকল্পনা করেছিলাম এবং এখানে চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছিলাম। আমরা সেটা পেরেছি। তারা সত্যি দুর্দান্ত (শিবলি, রিজওয়ান ও আরিফুল) খেলেছে। তারা রান করায় অবশ্যই প্রতিপক্ষ চাপে পড়েছে। কাজটা সহজ হয়েছে যখন তারা (মারুফ, ইমন ও বর্ষণ) বোলিংয়ে এসে উইকেট নিয়েছে। আসলে তারা জানে, তাদের কাজ কী। বাংলাদেশি সব সমর্থককে ধন্যবাদ। সতীর্থদেরও ধন্যবাদ। ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করব।’


অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে এবার বিশ্বকাপ অভিযান। এশিয়া কাপে অসাধারণ খেলার পর জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাওয়া বিশ্বকাপে শিবলি-রাব্বীদের নিয়ে এখন অনেক আশা।


শেয়ার করুন