চালের দাম দিন দিন বেড়েই চলছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রকার ভেদে কেজিতে চালের দাম ২ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। আর বস্তাপ্রতি বেড়েছে ৮০ থেকে ৩০০ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে আজ চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া আগামীকাল বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে এবং আগামী সপ্তাহে করপোরেট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হবে। উদ্দেশ্য চালের উচ্চমূল্যের কারণ বা রহস্য উদ্ঘাটন এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আনা।
জানতে চাইলে খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ‘চালের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করছি। বুধবার (আজ) চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করব।
বৃহস্পতিবার বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে বসব। তারপর বড় বড় চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বসব। কারণ অনুসন্ধানের জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ অবৈধভাবে মজুত করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অবৈধ মজুতদারদের নতুন আইনে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে কিনাÑএমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘নতুন আইনে শাস্তি দেওয়া যাচ্ছে না।
কারণ আইনের বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিধিমালা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত হয়ে এলেই বিধিমালা জারি করা হবে। তারপরও বিদ্যমান আইনে কঠোর শাস্তি প্রদানের সুযোগ রয়েছে।’
এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় ঢাকা মহানগরের চলমান ওএমএস কার্যক্রমে অধিকতর স্বচ্ছতা আনয়ন ও বাজার তদারকি করতে আকস্মিক পরিদর্শনের জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ও উপপরিচালকদের সমন্বয়ে ৪টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করে এক আদেশ জারি করেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
দেশের মানুষকে ন্যায্যমূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীসহ সব সিটি করপোরেশন এবং বিভাগীয় ও জেলা শহরে ওএমএস কার্যক্রমে চাল ও আটা বিক্রয় কার্যক্রম চলমান আছে। খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, টিমের কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে প্রতিদিন একটি টিম নির্ধারিত দিবসে অতিরিক্ত মহাপরিচালক, খাদ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ মোতাবেক কমপক্ষে ৪টি ওএমএস বিক্রয়কেন্দ্র (দোকান ও ট্রাকসহ) এবং ২টি বাজার পরিদর্শন করবে।
নির্ধারিত ছক মোতাবেক পরিদর্শন প্রতিবেদন পরবর্তী কর্মদিবসের মধ্যেই মহাপরিচালক খাদ্য অধিদপ্তর বরাবর দাখিল করবে। প্রতিটি টিমের সমন্বয়কারীরাও মাঝে মধ্যে মহাপরিচালক, খাদ্য অধিদপ্তরের অনুমতিক্রমে ভিজিলেন্স টিমের সঙ্গে পরিদর্শনে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশিত জরুরি পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।