১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:২৫:০৯ পূর্বাহ্ন
বিআরটি প্রকল্পের সাত ফ্লাইওভার খুলল
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৩-২০২৪
বিআরটি প্রকল্পের সাত ফ্লাইওভার খুলল

ঢাকা-গাজীপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঈদযাত্রার যানজট নিরসনে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সাত ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব ফ্লাইওভার ব্যবহার করে যানবাহন নির্বিঘেœ ঢাকা থেকে বের হতে পারবে। এগুলো হলোÑ ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পাশ), ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পাশ), ১৮০ মিটার জসীমউদ্দীন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউটার্ন-১ গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউটার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার ভোগড়া ফ্লাইওভার এবং গাজীপুরের চৌরাস্তায় ৫৬৮ মিটার ফ্লাইওভার। গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) আওতায় এই ফ্লাইওভার সাতটি নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।


রবিবার সচিবালয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এই সাতটি ফ্লাইওভারে যান চলাচল উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী ও সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই সাতটি ফ্লাইওভার দিয়ে এখন থেকে যান চলাচল করতে পারবে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য এই সাত ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার। এই প্রকল্প নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। এটি বাস্তবায়নে কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও দেরিতে হলেও কাজটি শেষ হওয়ার পথে। আশা করছি, এই বছরেই এটি দিয়ে বাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারব। আমাদের অন্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯১ শতাংশ। ডিসেম্বর নাগাদ বাকি কাজ শেষ হবে। বিআরটি করিডর দিয়ে বাস চলাচল করতে পারবে।’


 


এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে জানিয়ে সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঈদযাত্রার বিষয়ে আমরা সভা করেছি। ঈদের আগে ও পরে ট্রাক-ভারী পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গাজীপুর কিছুটা সমস্যার কারণ ছিল। কিন্তু সেটি এবার আরও সমাধান হয়ে গেল। এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে।’


 


এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার যানজট নিরসনে সিগন্যাল বাতি চালুর বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। তারা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। যানজট নিরসনে সিগন্যাল ব্যবস্থা জরুরি। সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হলে যানজট নিরসনে এটির ভূমিকা থাকবে। বিআরটি প্রকল্পের জন্য এ বছর সে রকম দুর্ভোগ হবে না।’


ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের রাজনীতি এত নির্মম যে, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু করার কথাও আসে। সমালোচনা করার জন্য সামলোচনা করতেই হবে। একটা মেগা প্রজেক্টের কাজ কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। সেটি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নানা সমস্যার জন্য হয়েছে। বিআরটি প্রকল্পের জন্য সে রকম দুর্ভোগ হবে না। তবে এবার ময়মনসিংহে যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। গতবারও আমরা একটি রাস্তা চালু করে দিয়েছিলাম। সেজন্য কিছুটা স্বস্তি হয়েছিল। এবার সাতটি ফ্লাইওভার চালু করে দিচ্ছি, তাতে চলাচল আরও সহজ হবে।


বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি। বিএনপির নেতারা আসলে এখন ব্যর্থতার জন্য নিজেরাই ক্লান্ত। তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও কথার মিল দেখি না। মঈন খান বললেন, গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য। আবার রিজভী তার চাদর ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ভারত বিরোধিতা করছেন। তারা আসলে বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। আর এটা কী সম্ভব?


সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের যে অবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে লেনদেন, যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে, তার মধ্যে এমন বর্জনের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত কি না! একেকজন একেক কথা বললে কোনো জায়গা থেকে নির্দেশিত হয়ে বলছেন, এমন কথা বলার নির্দেশ থাকে না। লন্ডন থেকে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে আদিষ্ট হয়ে বলছেন কি না; তা বলব কী করে? এখন আমীর খসরু বলেন একটা, রিজভী বলেন আরেকটা, আবার মঈন খান বলেন ভিন্ন কথা।


মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো চিন্তা আছে কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার এ ধরনের চিন্তাভাবনা কেন করবে? এর কোনো যুক্তি নেই, বাস্তবতা নেই। নির্বাচন যখন হওয়ার তখন হবে সংবিধান অনুসারে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলতে কিছু নেই।’


শেয়ার করুন