রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও’র) অফিসের নাম ভাঙিয়ে মোহনপুরে মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি প্রত্যারক চক্র মোহনপুর বাজারে কসাইখানায় গিয়ে নিজেদের দুর্গাপুর ইউএনও অফিসের লোক পরিচয় দিয়ে মাংস কিনে এ প্রত্যারণা করেন।
জানা গেছে, একটি প্রতারক চক্র মোহনপুর বাজারে মাংস পট্টি কসাইখানায় গিয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও)র কার্যালয়ের নামে ২৮ কেজি ৬০০ গ্রাম গরুর মাংস নিয়ে উধাও হয়ে যায়। গতকাল রবিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাংস ব্যবসায়ী শাহরিয়ার মুন্না দুপুরে দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী মাংস ব্যবসায়ী কসাই শাহরিয়ার মুন্না জানান, সকালে মোহনগঞ্জ বাজারে এসে এক ব্যক্তি নিজেকে ইউএনও অফিসের লোক বলে পরিচয় দেন। এরপর জানায় ইউএনও স্যার পাঠিয়েছেন, তার কার্যালয়ে ছোট অনুষ্ঠান আছে। ২৮ কেজি গরুর মাংস লাগবে। সাথে একজন কসাই যেতে হবে, যেন প্রয়োজন অনুযায়ী মাংস সাইজ করে দিতে পারে। আর কাজ শেষে বিল পরিশোধ করা হবে।
পরে জবাই করা গরুর বিভিন্ন অংশ থেকে ২৮ কেজি মাংস সহ কসাইকে সিএনজিতে তুলে ইউএনও কার্যালয়ে আনা হয়। এরপর প্রতারক ওই যুবক মাংস পরীক্ষা করতে হবে বলে পরে প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় নিয়ে যান। এ সময় মাংস পরীক্ষার নাম করে কসাইকে রাস্তায় রেখে সে কৌশলে মাংস নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে তাদের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ভোক্তভুগী রবিবার দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই মাংসের মূল্য ২০ হাজার টাকার কিছু ওপরে হবে বলে জানান ভুক্তভোগী শাহরিয়ার মুন্না।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই ভুক্তভোগী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। প্রতারক চক্রের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এবিষয়ে দুর্গাপুর উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, আমি থানা পুলিশ কে অবহিত করছি। তারা এসে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে গেছে। প্রতারককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।