১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:২২:৩৪ অপরাহ্ন
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের জটিলতা নিরসনে চেষ্টা চলছে: বাংলাদেশের হাইকমিশনার
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৬-২০২৪
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের জটিলতা নিরসনে চেষ্টা চলছে: বাংলাদেশের হাইকমিশনার

ভিসা ইস্যু হওয়া শ্রমিকদের জটিলতা নিরসনে চেষ্টা চলছে। ভিসা পেয়েও যারা মালয়েশিয়া যেতে পারছেন না, তাদের দ্রুত নেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।


শুক্রবার রাতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন মো. শামীম আহসান। রাতভর বিমান বন্দরে তিনি আবস্থান করেন এবং সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, তার সঙ্গে রয়েছেন, কাউন্সেলর লেবার সৈয়দ শরিফুল ইসলাম প্রথম সচিব প্রেস সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ ও ওয়েলফেয়ার এ্যাসিসটেন্ট শিহাব হোসাইন।


সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ জানান, মালয়েশিয়া রাত ১২টার পর বাংলাদেশ থেকে আসা কর্মীরা নির্বিঘ্নে ইমিগ্রেশন পার করছেন। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করেছে। ৩১ মে বাংলাদেশ ত্যাগ করে যারা মালয়েশিয়ায় আসছেন ১২টার পরেও তারা ইমিগ্রেশন পার হয়েছেন।


এখন পর্যন্ত যারা দেশটিতে পৌঁছেছেন তাদের অনেকেই এয়ারপোর্টে আটকা পড়েছে। এই মুহূর্তে এয়ারপোর্টের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় এয়ারপোর্টের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সার্বক্ষণিক সজাগ দৃষ্টি রাখছে কতৃপক্ষ।  


হাইকমিশনার বলেন, ভিসা পাওয়ার পরও যেসব বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় আসতে পারছেন না, তাদের যেন দ্রুত নিয়ে আসা যায় তার জন্য চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।


তিনি বলেন, ৫ লাখ ২৭ হাজারের বেশি ডিমান্ড লেটার সত্যায়ন করেছে হাইকমিশন। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭২ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে এসেছে। আমরা নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তারা যেন প্রতিশ্রুত কাজে যোগদান করতে পারেন। বিভিন্ন জটিলতায় হয়তো তারা আসতে পারছেন না। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা চলমান আছে।


মালয়েশিয়ার গত মার্চের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ মে অর্থাৎ শুক্রবারের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। সময়সীমার কারণে হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এয়ারলাইনস সংস্থাগুলো আসন সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শুক্রবার পর্যন্ত বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করে।


বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ কর্মী। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭২ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে এসেছেন।


উল্লেখ্য আজ থেকে বন্ধ হলো মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। এতে করে প্রায় ৩০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছেন। 


শেয়ার করুন