১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৬:৩২:০৬ অপরাহ্ন
কালোটাকা সাদা করতে পারবে প্রতিষ্ঠানও
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৬-২০২৪
কালোটাকা সাদা করতে পারবে প্রতিষ্ঠানও

রাজস্ব খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। নতুন বাজেটে কালোটাকা সাদা করার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। এত দিন ব্যক্তিপর্যায়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলেও আসছে বাজেটে প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও এই সুযোগ নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়া ধনীদের ওপর কর বাড়ানো এবং সংসদ সদস্যদের (এমপি) আমদানি করা গাড়িতে শুল্ক বসানোর মতো সাহসী পদক্ষেপ যেমন নেওয়া হচ্ছে, তেমনি শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ১ শতাংশ শুল্ক বসানোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তও থাকছে এই বাজেটে।


আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট উপস্থাপন করবেন। তার আগে আজ বুধবার শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় করছাড় বাবদ অন্তত ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির প্রক্ষেপণ তুলে ধরে করছাড় কমিয়ে আনার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান জানান দেবেন সংসদে।


নতুন বাজেট ঘিরে শুল্ক খাত নিয়ে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে দেশীয় শিল্প ও দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যকে সুরক্ষা প্রদানের চেষ্টা আছে। শুল্ক হ্রাস-বৃদ্ধির প্রভাবে বেশ কিছু পণ্যের দামে পরিবর্তনের আভাস মিলতে পারে নতুন বাজেটে। শুল্ক বাড়ানোর ফলে দাম বাড়তে পারে এয়ারকন্ডিশনার, পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র, মোটরসাইকেল, এটিএম, সিসি ক্যামেরা, জেনারেটর, এলইডি লাইটের। তবে শুল্ক কমানোর প্রস্তাবে কমতে পারে ল্যাপটপ, কিডনি ডায়ালাইসিস ফিল্টার, আমদানি করা প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ, কৃত্রিম আঁশের কার্পেট, চকলেট, চিলারসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম।


নতুন বাজেট নিয়ে রাজস্ব বিশ্লেষক ও এনবিআরের সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজেটে যেসব প্রস্তাব করা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে, এগুলোর বেশির ভাগই ভালো প্রস্তাব; বিশেষ করে ধনীদের ওপর বাড়তি করারোপ করার প্রস্তাবটি ভালো। যাঁদের বেশি আয় থাকবে, তাঁরা বেশি কর দেবেন।’ তিনি কালোটাকা সাদা করার বিষয়টি ইতিবাচক আখ্যায়িত করে বলেন, ‘এ সুযোগও ভালো পদক্ষেপ। এতে রাজস্ব আয় বাড়বে। তবে আইসিটির ১৩টি খাতকে ক্যাশলেস করলে তিন বছরের করছাড় সুবিধার শর্তটি বাস্তবায়িত হবে না। কেউই এ সময়ে পুরো ক্যাশলেস হতে পারবে না।’


আয়কর খাতে যেসব পরিবর্তন আসতে পারে

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী রাজস্ব খাতে বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। এগুলোর মধ্যে আয়কর খাতে নতুন করে একটি করের স্তর ঘোষণার সম্ভাবনা আছে। বছরে ২০ লাখ টাকার বেশি আয় করেন এমন স্বাভাবিক ব্যক্তি ও ফার্মকে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হতে পারে নতুন অর্থবছরে। এ ছাড়া ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকায় অপরিবর্তিত থাকছে।


পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানির করপোরেট কর শর্ত সাপেক্ষে সাড়ে ২২ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকছে। তবে যেকোনো সমিতি, ট্রাস্ট, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সুদ আয়ে ১৫ শতাংশের সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ বেশি কর আরোপ হবে। এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুদ আয় বাবদ দিতে হবে ১০ শতাংশ কর।


শেয়ার করুন