১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৭:২৮:১০ অপরাহ্ন
ঈদযাত্রায় লঞ্চে স্বস্তি, নির্বিঘ্নে ফেরি পারাপার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৬-২০২৪
ঈদযাত্রায় লঞ্চে স্বস্তি, নির্বিঘ্নে ফেরি পারাপার

আর মাত্র ২ দিন, এরপরেই ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। এবার লঞ্চে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ।

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের লঞ্চ ও ফেরিতে উপচে পড়া ভিড়। তবে কোনো ভোগান্তি নেই। নির্বিঘ্নে মানুষ পারাপার হচ্ছেন। স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা শুক্রবার বিকালে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি লঞ্চেই যাত্রী বোঝাই। কোনো লঞ্চেই কেবিন খালি নেই। ডেকেও দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। একদিকে অল্প খরচে যাতায়াতের জন্য ডেকে জায়গা পেতে আগেভাগেই লঞ্চে ভিড় করছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে যাত্রী বোঝাইয়ের পরে আরও বেশি যাত্রী উঠানোর জন্য হাঁকডাক দিচ্ছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। বিকালে প্রায় প্রতিটি লঞ্চকেই অতিরিক্ত যাত্রী নিতে দেখা যায়। বিশেষ করে চাঁদপুর, বরিশাল ও ভোলা রুটে মানুষের ভিড় ছিল বেশি।

যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের আওতায় এবার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ১৮০টি লঞ্চ ছাড়বে। এসব নৌপরিবহণের মধ্যে ঢাকা থেকে ছাড়বে ৯০টি, বিভিন্ন স্থান থেকে ৯০টি ঢাকায় আসবে।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বরিশালগামী যাত্রী শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি নৌপথে চলাচলে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার আগে ঈদকেন্দ্রিক লঞ্চে যে চাপ ছিল সেটা অবশ্য এখন নেই। এ কারণে আমরা আরামে যাত্রা উপভোগ করতে পারছি।

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : দৌলতদিয়ায় বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। শুক্রবার পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি লঞ্চ ও ফেরিতে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ভিড়তে দেখা যায়।

এছাড়া প্রতিটি ফেরিতে মোটরসাইকেল, ছোট গাড়ি (প্রাইভেটকার) ও যাত্রীদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চ থেকে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে এসে বিভিন্ন যানবাহনে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।

ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশসহ পরিবহণ মালিকদের স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের সুবিধার্থে বাস কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাস মালিকরা যাতে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।

মো. বরকত উল্লাহ নামের এক সরকারি কর্মকর্তা পরিবার নিয়ে ঈদ করতে যাচ্ছেন কুষ্টিয়ার নিজ বাড়িতে। তিনি বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে যাত্রীদের চাপ থাকলেও ভোগান্তি হয়নি।

শেয়ার করুন