দেশের শীর্ষ করদাতা ও হাকিমপুরী জর্দার মালিক মো. কাউছ মিয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, আট ছেলে ও আট মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
মঙ্গলবার বাদ জোহর আরমানীটোলা মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন কাউছ মিয়ার মেয়ে খাদিজা কাউছ বিউটি ও ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া।
তারা বলেন, আব্বা বার্ধক্যের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার পর দেশে আনা হয়। পুরান ঢাকার বাসভবনে শয্যাশায়ী ছিলেন। শনিবার বিকালে আব্বার (হাজী মো. কাউছ মিয়ার) শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়া থেকে চির বিদায় নেন।
হাজী মোহাম্মদ কাউছ মিয়া চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন। তিনি দীর্ঘদিন চাঁদপুর জেলা শহরের পুরান বাজারে ব্যবসা করেন। পরে হাজিগঞ্জে, সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ব্যবসা করেন। হাকিমপুরীর জর্দার ব্যবসার পাশাপাশি তার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা ছিল। ২২ বছর বয়স থেকে ব্যবসা শুরু করেন এবং টানা ৭১ বছর এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করেন।
হাকিমপুরী জর্দার মালিক, দেশসেরা শীর্ষ করদাতা চাঁদপুর ও শরিয়তপুরে একজন দানশীল মানুষ হিসাবে হাজী মোহাম্মদ কাউছ মিয়ার সুনাম ছিলো দেশজুড়ে।
উল্লেখ্য, কাউছ মিয়া স্বাধীনতার আগে একবার এবং পরে যতবার এনবিআর সেরা করদাতার সম্মাননা দিয়েছে প্রতিবারই প্রত্যাখ্যাত তিনি শীর্ষ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন।
এবছরেও অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি তার সেরা করদাতার সম্মাননা নিতে এসেছিলেন হুইল চেয়ারে করে। মুজিববর্ষেও একমাত্র কাউছ মিয়াকে সেরা করদাতা মনোনীত করা হয়।