অনুমতি পেয়েও যেসব বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
সোমবার সংসদের বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৩ বাংলাদেশির প্রবাসে কর্মসংস্থান হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরেও মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি তাদের তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে তিন হাজারেরও বেশি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করবে। যারা এ পরিস্থিতি তৈরির জন্য প্রকৃত দায়ী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২১ মে পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়। ২১ মের পর আর অনুমোদন দেওয়ার কথা না থাকলেও বিএমইটির তথ্য বলছে, মন্ত্রণালয় আরও এক হাজার ১১২ জন কর্মীকে দেশটিতে যাওয়ার অনুমোদন দেয়। যাদের ৩১ মে এর মধ্যে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল মালয়েশিয়া কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সেখানে যেতে পারেনি বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে কক্সবাজার-১ আসনের এমপি ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বলেন, উন্নয়নের পথে বাধা হচ্ছে মাদক, দুর্নীতি ও ডিজিটাল প্লাটফর্মের অপব্যবহার। শুধু কমান্ড দিয়ে, কমিশন দিয়ে দুর্নীতি কমানো যাবে না। এ জন্য মহা কর্মপরিকল্পনা দরকার। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মিয়ানমার সীমান্তে কক্সবাজারবাসীর আতঙ্ক দূর করতে বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন, স্থানীয় সামরিক কর্তৃপক্ষকে আরও জোরদার করার দাবি জানিয়ে সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ কক্সবাজার সীমান্ত থেকে একটু দূরে। সমগ্র জাতি ও বিশ্ব সেন্টমার্টিনের দিকে তাকিয়ে আছে। আশাকরি এ নিয়ে সংসদে কেউ না কেউ কিছু বলবেন। সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষের আতঙ্ক দূর করবেন।