১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৭:১৭:৫৩ অপরাহ্ন
কারণ ছাড়াই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, অসহায় ভোক্তারা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৬-২০২৪
কারণ ছাড়াই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, অসহায় ভোক্তারা

কোনোভাবেই কমছে না মসলাজাতীয় পণ্যের দাম। প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে। সর্বশেষ সাতদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও হলুদের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি আদা ৫০ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া এখনো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে ডিম। প্রতি ডজন ১৬০-১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। ফলে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার বাড়তি টাকা ব্যয় হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, শান্তিনগর কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও হলুদের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সংস্থাটির বৃহস্পতিবারের দৈনিক খুচরা পণ্যমূল্য তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সাতদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৮.৫৭ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি কেজিপ্রতি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫.৪১ শতাংশ। সঙ্গে প্রতি কেজি দেশি আদা ১১.৭৬ শতাংশ, দেশি হলুদ ৭.১৪ শতাংশ, আমদানি করা হলুদ ১২.০৭ শতাংশ, দেশি রসুন ২.৩৮ শতাংশ, আমদানি করা রসুন ২.২২ শতাংশ মূল্য বেড়ে রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহে কোনো ধরনের ঘাটতি দেখা যায়নি। প্রতিটি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য দেখা গেছে। বিক্রেতারাও ক্রেতার চাহিদামতো বিক্রি করছেন। কিন্তু দাম বেশি। ক্রেতারাও এসব মসলাজাতীয় পণ্য কিনতে এসে বাড়তি দামের কারণে হিমশিম খাচ্ছেন। তারা বলছেন, বাজারে পণ্য থাকার পরও বিক্রেতারা কুরবানির ঈদের আগে থেকেই বাড়তি দামে সব ধরনের মসলা পণ্য বিক্রি করছেন। আর প্রতি সপ্তাহে একটু একটু করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। যে কারণে এসব পণ্য কিনতে দিশেহারা হয়ে পড়তে হচ্ছে।

শেয়ার করুন