১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৩১:১০ পূর্বাহ্ন
দেশের সাইবার জগতের ভার ৩ কর্মকর্তার ওপর
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৭-২০২৪
দেশের সাইবার জগতের ভার ৩ কর্মকর্তার ওপর

মাঝেমধ্যেই হ্যাকারদের কবলে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো। ঘটছে নাগরিকের তথ্য বেহাতের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে হ্যাকাররা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সাইবার নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ভুগছে জনবলসংকটে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে একজন মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক দিয়ে। অর্থাৎ মাত্র তিন কর্মকর্তার ওপর নির্ভর করছে দেশের সাইবার নিরাপত্তা।


জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির জন্য জনবল অনুমোদন করা দরকার। এটি আমরা দুই বছর ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বারবার বলার চেষ্টা করেছি। আমরা খুবই দুঃখ এবং পরিতাপের সঙ্গে জানাচ্ছি, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন পাইনি।’


প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্থাটিতে অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ জন এক্সপার্ট দরকার। লোকবল নিয়োগ হলে আমরা এই কার্যক্রমগুলো আরও বেগবান করতে পারব। এখন আমাদের খুবই সীমিতসংখ্যক দক্ষ জনবল নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বিজিডি-সার্ট প্রজেক্টের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ছে। আমার প্রত্যাশা থাকবে, জনপ্রশাসন এবং অর্থ মন্ত্রণালয় গুরুত্ব বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব এজেন্সির লোকবল নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দেবে।’


সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি (ডিএসএ) নামে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে পাস হয় এনসিএসএ আইন। তারপর থেকে সংস্থাটির নাম হয়েছে এনসিএসএ। প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের পাঁচজন কর্মকর্তা কাজ করে আসছিলেন। ২০২৩ সালে নতুন করে আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রেষণে পদায়ন করা হয়। অবশ্য ডিএসএর বিধিমালায় অনুমোদিত ১২০ জন এবং সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত তিনজনসহ মোট ১২৩ জন জনবলের একটি অর্গানোগ্রাম অনুমোদিত ছিল। ২০২১ সালের জুনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেও সেই জনবল নিয়োগ হয়নি এখনো।


শেয়ার করুন