যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তার নাম আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতার পালা। সেটিও শেষ হলো বৃহস্পতিবার। এমন দিনে কমলা হ্যারিস মনোনয়নপত্র গ্রহণ করলেন যেদিন ছিল তার দশম বিবাহবার্ষিকী। আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীপদ গ্রহণের পর প্রথম ভাষণে নিজের নীতি স্পষ্ট করেন তিনি।
পাশাপাশি বলেছেন, তিনি বিশ্ব জুড়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়বেন। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তার অগ্রাধিকারের তালিকায় গাজা, ন্যাটোকে সমর্থন ও মধ্যবিত্তদের কর হ্রাসকে রেখেছেন। হ্যারিস জিতলে তিনি হবেন আমেরিকার প্রথম নারী ও এশীয় বংশোদ্ভূত প্রেসিডেন্ট।
ভাষণে যা বললেন হ্যারিস: কমলা হ্যারিস (৫৯) তার ভাষণে বলেন, তিনি আমেরিকার সব মানুষের জন্য প্রেসিডেন্ট হতে চান। তিনি বলেছেন, আমি সব আমেরিকানের হওয়ার জন্য প্রার্থীপদ গ্রহণ করছি। আমেরিকার সব মানুষের হয়ে, তাদের কাহিনি বিশ্বের এই মহান দেশে স্বর্ণাক্ষরে লেখার জন্য প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতের মানুষ এই ভাষণ শুনছেন ও দেখছেন। তাদের কাছে আমি একটা কথাই বলতে চাই, আমি সেই প্রেসিডেন্ট হতে চাই, যিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবেন, তাদের উচ্চাশা পূরণ করবেন। এমন একজন প্রেসিডেন্ট হতে চাই, যিনি নেতৃত্ব দেবেন, যিনি সবার কথা শুনবেন।’
ভোটদাতাদের কমলা বলেছেন, ‘একটা নতুন পথে হাঁটার সুযোগ এসেছে। অতীতের তিক্ততা ভুলে, হতাশা মুছে দিয়ে এগোবার সুয়োগ এসেছে। একটা দল বা একটা গোষ্ঠী হিসেবে নয়, আমেরিকার মানুষ হিসেবে এগোনোর সুযোগ এসেছে। আমাদের আর পিছিয়ে যাওয়ার সুয়োগ নেই।’
মিডিয়ার বিশ্লেষকরা হ্যারিসের ভাষণকে শক্তিশালী হিসেবে বর্ণনা করে ২০০৮ সালের কনভেনশনে আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বারাক ওবামার ভাষণের সঙ্গে তুলনা করেন।
হ্যারিস হচ্ছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত যিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়ন গ্রহণ করলেন। ভাষণের শুরুতে হ্যারিস তার ভারতীয় মা এবং জামাইকা বংশোদ্ভূত বাবা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং বলেন কীভাবে তারা তার জীবন প্রভাবিত করেছে।
কমলার দশম বিবাহবার্ষিকী ছিল বৃহস্পতিবার। এই দিনটিতেই কমলা মনোনয়ন নিলেন। বক্তব্যের আগে মঞ্চে উপস্থিত হন কমলার স্বজনেরা। তার ভাতিজির দুই সন্তান কমলার নামের সঠিক উচ্চারণ শিখিয়েছেন দর্শক শ্রোতাদের। সম্মেলনস্থলের বাইরে বিক্ষোভ করছিল ফিলিস্তিনপন্থিরা।