প্রযুক্তি বিশ্বে এআই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এক যুদ্ধ। কেন্দ্রবিন্দুতে ইলন মাস্ক ও ওপেনএআই। মাস্কের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ায় মামলা করেছে ওপেনএআই, যেখানে অভিযোগ-মাস্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে অসৎ কৌশল অবলম্বন করছেন। অথচ এ প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মাস্ক নিজেই।
২০১৮ সালে ওপেনএআই থেকে সরে দাঁড়ান মাস্ক। এরপর থেকেই প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট কাঠামো পরিবর্তন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন তিনি।
তিনি দাবি করেছেন, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে মানবতার কল্যাণে এআই বিকাশের যে অঙ্গীকার ছিল, ওপেনএআই তা লঙ্ঘন করেছে। তিনি একে দেখছেন চুক্তিভঙ্গ হিসাবে।
অন্যদিকে ওপেনএআই বলছে, মাস্ক এখন ব্যক্তিগত স্বার্থে প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে ক্ষমতার লড়াই করছেন।
স্যাম অল্টম্যানের ভাষ্য, ‘না ধন্যবাদ’, মাস্কের ৯৭.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘আপনি চাইলে, আমরা বরং টুইটার (এখন এক্স) কিনে নিতে পারি ৯.৭৪ বিলিয়নে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধুই প্রযুক্তি নয়-ক্ষমতা ও মুনাফা নিয়ন্ত্রণের বড় খেলা। কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যারি লাইটম্যান বলেন, ‘এটা মূলত একজনের দাবি-আমি এ স্টার্টআপের নিয়ন্ত্রণ চাই।’
ইতোমধ্যে মাস্কের কোম্পানি এক্সএআই ওপেনএআই-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
তবে প্রযুক্তিগতভাবে এখনো পিছিয়ে রয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের। এ মামলার শুনানি শুরু হবে ২০২৬ সালের মার্চে। তার আগ পর্যন্ত প্রযুক্তি বিশ্ব থাকবে উত্তেজনায়, আর প্রশ্ন থাকবে-এ যুদ্ধের শেষ কোথায়? এআই কি মানবতার কল্যাণে থাকবে, না কেবল বড়লোকদের হাতের খেলা হয়ে উঠবে?