নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে মারপিট, দোকান ভাঙচুর লুটপাট করা হয়েছে। তাদের হামলায় ঢেউটিনের তৈরি দোকান ঘর ফুটো ফুটো হয়ে গেছে। মোকসেদ আলী (৪৩) নামে একজনের হাত ভেঙ্গে গেছে ও পায়ে মারত্মক জখম হয়েছে। লুটতরাজ করা হয়েছে দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা। রোববার (১৩ এপ্রিল) এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের খলিশাকুড়ি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে খোরশেদ আলম অভিযোগ করেন যে, মাতাজীহাট বটতলী মোড়ে খলিশাকুড়ি রোডের পাশে মেসার্স হাসান ট্রেডার্স নামে তার একটি ধানের আড়ৎ রয়েছে। প্রতিপক্ষরা প্রায়ই তার কাছে এসে চাঁদা দাবি করতো। চাঁদা না দিলে দোকান ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এরই জের ধরে গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ২০/৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী লোহার রড, লাঠি সোঠা, হাসুয়া প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার আড়তে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে তার ছোট ভাই মোকসেদ আলী জানতে পেরে সেখানে ছুটে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে বেদম মারপিট করে। তার ডান হাতের কব্জির হাড় ভেঙ্গে যায় ও বাঁম পায়ে হাঁটুর নিচে মারাত্মক জখম হয়। সন্ত্রাসীরা দোকানে থাকা ধান মাপা স্কেল ও অন্যান্য মালামাল লুট করে। এতে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়া নগদ ৭ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এব্যাপারে তিনি আতুড়া গ্রামের খোকা মন্ডলের ছেলে মাসুদ পারভেজ রুবেল (৪২), নাসির উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম (৪৫), সাহেদ আলী (২৪), রাইগাঁ গ্রামের কছিমুদ্দিনের ছেলে খোকা মন্ডল (৫৯), হারুন অর রশিদ বিদ্যুৎ (৫২), হেলাল উদ্দিন (৪৮), আতাউর রহমান (৫৫), আলাই মন্ডলের ছেলে নাসির আলী (২৯), ফারুখ হোসেনের ছেল জাকির ইসলাম (৩০), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মুরাদ হোসেন (২৩), রহট্টা গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে মো: লাবলু (৪০), ছালেম আলীর ছেলে সাবু (৪০), বেলাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল রানা (২৬), আরোর ইসলামের ছেলে মামুন ইসলাম (২৭), ময়েজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মালেক (২৮), বদলগাছী উপজেলার জাইজাতা গ্রামের মো: হোসেন (৩০) সহ অজ্ঞাতদের নামে মহাদেবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোশাররফ হোসেন জানান, ঘটনার সময় খবর পেয়ে ফাঁড়ির দুজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন রেজা অভিযোগ পাবার কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিপক্ষদের সাথে যোগাযোগ করা হলে হারুন অর রশিদ বিদ্যুৎ জানান, ওই আড়ৎ সংলগ্ন জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। পাশের জমির উপর স্থাপনা নির্মাণের জন্য মালামাল ওই আড়তের ঘরে রাখা ছিল, এই খবর পেয়ে তারা ওই আড়ৎ থেকে মালামালগুলো সরিয়ে দিয়েছেন।