২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণআন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়।
এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে।
হাজির হওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
এছাড়াও আসামিদের তালিকায় আছেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, অর্থ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
আসামিদের হাজিরাকে ঘিরে সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সঙ্গে আদালত চত্বরে জড়ো হন আসামিদের আত্মীয়-স্বজনরাও।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সেই শুনানিতে আদালত ২০ এপ্রিল পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেছিলেন।
এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা গত বছরের গণআন্দোলন চলাকালে নিরাপরাধ মানুষের ওপর হামলা, হত্যাকাণ্ড এবং নিপীড়নের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রেখেছেন।
আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হলে দেশজুড়ে এর দৃষ্টান্তমূলক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।