০৪ মে ২০২৫, রবিবার, ০১:৪৫:১৭ পূর্বাহ্ন
বিমানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন খালেদা জিয়া
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৫-২০২৫
বিমানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন খালেদা জিয়া

দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আগামী ৫ মে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার আগমণকে ঘিরে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি ও উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।


এর মধ্যেই মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন খালেদা জিয়া। অসুস্থতার কথা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে তার যাত্রাপথ সহজ করতে প্রস্তাব দেওয়া হলেও, তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি, যাতে অন্য যাত্রীদের কোনও ভোগান্তি না হয়।


শুক্রবার (২ মে) বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, বেগম জিয়া বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। ৪ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের ওই ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।


বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ ও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসে—তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনায় ফ্লাইটের নির্ধারিত রুট পরিবর্তন করে লন্ডন-ঢাকা-সিলেট করার। তবে বেগম জিয়া এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তিনি স্পষ্ট করে জানান, তার জন্য বিমানের অন্য যাত্রীদের সামান্য কষ্টেও ফেলতে তিনি রাজি নন।


তার এই সিদ্ধান্তে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও প্রশংসার সুর ধ্বনিত হচ্ছে। অনেকেই একে একজন রাজনৈতিক নেত্রীর মানবিকতার অনন্য উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।


প্রায় পাঁচ মাস আগে, ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। তখন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির ব্যবস্থাপনায় একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি যুক্তরাজ্যে যান। লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসভবনে ওঠেন তিনি এবং সেখান থেকেই চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

 


বেগম জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও আর্থরাইটিসসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। সূত্র জানিয়েছে, তার সঙ্গে দুই পুত্রবধূও দেশে ফিরতে পারেন।


শেয়ার করুন