ঈদের লম্বা ছুটিতে আম নামানো কমেছে চাষিদের। যারা নামিয়েছেন তারাও প্রত্যাশানুযায়ী দাম না পেয়ে হতাশ। রোববার প্রতি মণ আমে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা দরপতন হয়েছে।
এদিন বিকেলে বানেশ্বর আম হাটে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন চাষি ও ব্যবসায়ী আম বিক্রি করতে এসেছেন। তারা জানান, আম পেকে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা আম নামিয়ে বাজারে এনেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, পরিবারের জরুরি টাকার প্রয়োজনে কিছু আম এনেছেন বিক্রি করতে। তবে ঈদের ছুটিতে পাইকারি ক্রেতা না থাকায় দরপতন হয়েছে।
চাষি আব্দুর রহিম দেড় মণ হিমসাগর আম এনেছেন বিক্রি করতে। তিনি বলেন, জরুরি টাকার প্রয়োজনে দেড় মণ হিমসাগর আম এনেছি। ঈদের আগে এই আম ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকা মণ ছিল। ঈদের পরদিন বিকেলে এই আমের দাম কমে ১২শ’ টাকা মণ। তাই বিক্রি না করে ভালো দামের অপেক্ষায় আছি।
হৃদয় নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, লক্ষণভোগ আম আগে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হতো। আজ ৪৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। ক্রেতা না থাকায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সব আমই মণে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কমেছে।
আম ব্যবসায়ী সুমন বলেন, ঈদেরদিন ও আগের দিন হাটে কোনো আম উঠেনি। পরদিন অল্প কিছু আম উঠেছিল। এর দাম ভালো যায়নি। আসলে আম তো আর ঈদের ছুটি মানে না। গাছে আম পাকলে রাখা যায় না, পাখি নষ্ট করে। আবার পচে যায়। তাই কিছু আম চাষিরা এনেছেন।
হাটে পলক নামের একজন পাইকার ক্রেতা এসেছেন ময়মনসিংহ থেকে। তিনি বলেন, পাইকার নেই। আম খুবই কম উঠেছে। দামও কম। এই দামে আম কিনে বেশ লাভ হবে।
আমের আড়তদার নজরুল ইসলাম বলেন, এটা দীর্ঘমেয়াদি কোনো দরপতন নয়। ঈদের ছুটিতে সবাই নিজবাড়িতে ঈদ করছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাড়ি ফিরে গেছেন। যারা আম খাবেন সেই ভোক্তারাও শহর ছেড়ে গ্রামে। কুরিয়ার বন্ধ। তাই সাময়িক দাম কমেছে। আশা করছি, দু’দিনের মধ্যেই দাম ঠিক হয়ে যাবে।
এদিকে ঈদের ছুটির কারণে ৫ থেকে ৮ জুন কুরিয়ার সার্ভিস বন্ধ। এ কারণে অনলাইন ব্যবসায়ীরাও আম কিনছেন না।