২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ০৪:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে বাকপ্রতিবন্ধী পথশিশুকে ধর্ষণ, হাসপাতালে ভর্তি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৬-২০২৫
রাজশাহীতে বাকপ্রতিবন্ধী পথশিশুকে ধর্ষণ, হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে বাকপ্রতিবন্ধী পথশিশুকে ধর্ষণ, হাসপাতালে ভর্তি

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে এক বাকপ্রতিবন্ধী পথশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের পাশ থেকে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করানো হয়।


এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।


স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে ডিগ্রি কলেজের পাশে শিশুর গোঙানির শব্দ পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায়, পথশিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে পুলিশে খবর দিয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।


শিশুটির চাচা জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজ গেট এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাকে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ৩টার দিকে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে শিশুটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।


এ বিষয়ে হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন, শিশুটিকে ওসিসিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক। আমরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি।


পুলিশ জানায়, বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাদের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।


এদিকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। তারা ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। 


তাহেরপুর পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, একজন প্রতিবন্ধী শিশুর ওপর এমন পাশবিকতা- এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা বিচার চাই, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে হবে।


বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান সমকালকে বলেন, আমি সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছি। এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা না গেলেও আমরা চেষ্টা করছি যেন খুব দ্রুত অভিযুক্তকে শনাক্ত করা যায়। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির বাবা-মা আলাদা থাকেন। বাকপ্রতিবন্ধী শিশুটি বাজারেই ঘুমাতো।


শেয়ার করুন