০৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ০৯:২০:২০ অপরাহ্ন
ব্রিকস সদস্যদের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৭-২০২৫
ব্রিকস সদস্যদের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

ব্রিকস জোটের সদস্য দেশগুলোর ওপর শিগগিরই ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। খবর রয়টার্সের।


ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থায় ডলারের প্রাধান্য সরিয়ে ফেলার লক্ষ্যেই ব্রিকস জোট গঠিত হয়েছে। এ কারণে ব্রিকসের সব সদস্য রাষ্ট্র—যার মধ্যে ভারত ও ব্রাজিলও রয়েছে—তাদের পণ্য রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক বসবে। ট্রাম্পের ভাষ্য, 'যারা আমাদের মুদ্রাকে দুর্বল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।'


তিনি আরও জানান, এই শুল্ক কার্যকর হবে আগামী ১ আগস্ট থেকে। এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশকে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং আরও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, 'শুধুমাত্র ব্রিকস সদস্য হওয়ার কারণেই এ শুল্ক দিতে হবে। তারা যদি খেলতে চায়, আমরাও খেলবো।'


ভারত ও ব্রাজিলের নাম উল্লেখ করে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, 'ব্রিকস গঠনের লক্ষ্যই ছিল আমাদের অর্থনীতির ক্ষতি করা। কাজেই সদস্য দেশগুলোকে ১০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। তারা বেশিদিন এই জোটে টিকতেও পারবে না।'


তিনি দাবি করেন, ব্রিকস এখন কার্যত ভেঙে পড়েছে এবং কিছু সদস্য দেশ কেবল নামমাত্র সদস্য হিসেবে টিকে আছে। তবে ট্রাম্প মনে করেন, এই জোট যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় কোনো হুমকি নয়।


একই দিনে ট্রাম্প আরও ঘোষণা দেন, আমদানিকৃত কপার বা তামার ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। তিনি বলেন, 'এই ধাতু বিদ্যুৎ উৎপাদন, সামরিক সরঞ্জাম ও ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর স্বার্থেই এই শুল্ক।' তার ঘোষণার পরপরই নিউইয়র্কের মার্কেটে কপার ফিউচারসের দাম ১০ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।


এছাড়া সেমিকন্ডাক্টর ও ওষুধ আমদানির ওপরও শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওষুধ খাতে শুল্কহার হতে পারে সর্বোচ্চ ২০০ শতাংশ পর্যন্ত। তবে কোম্পানিগুলোকে প্রস্তুতির জন্য এক বছর সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আদায়ের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। চলতি বছরেই দেশটি ১০ হাজার কোটি ডলারের শুল্ক আদায় করেছে বলেও জানান তিনি।


সবশেষে ট্রাম্প চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'চীন এখন আমাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক বিষয়ে বেশ ন্যায্য আচরণ করছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে।'


শেয়ার করুন