পাল্লেকেলেতে শামীম হোসেন খেলেছিলেন ৫ বল, করেছিলেন ১৪ রান। ডাম্বুলাতে আরও বেশি সময়। ২৭ বলে ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস। শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ তাতেই পায় দুইশ’র কাছাকাছি সংগ্রহ। আসে বড় জয়। সিরিজে ফেরার দিনে সবার মুখে তাই শামীম বন্দনা। অধিনায়ক লিটন দাস আলাদা করে প্রশংসা করেছেন শামীমের।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা শামীমের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের নেপথ্য। টাইগার ব্যাটার শোনান, দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ব্যাটার এবিডি ভিলিয়ার্সের কথা, বলেন ইতিবাচক থেকে রিস্ক নেওয়ার কথাও। টি-টোয়েন্টিতে বহুদিন পর ফেরা শামীম সফলও হয়েছেন। দেড়শ ছাড়ানো স্ট্রাইক রেটে দ্রুত রানও তুলে দিচ্ছেন।
নিজের ব্যাটিং প্ল্যান নিয়ে সোমবার শামীম বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ে গেলে সবসময় প্ল্যান থাকে ইতিবাচক থাকার। রিস্ক কাউকে না কাউকে নিতেই হবে। আমি নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে রিস্কটা নিয়ে ফেলি। এবিডির (এবিডি ভিলিয়ার্স) ব্যাটিং পছন্দ করি সবসময়। আমি সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। টি-টোয়েন্টি খেলায় যত বেশি ইতিবাচক থাকব তত ভালো।’
ডাম্বুলায় গতকাল লিটন দাসের ক্যামিওর পর শামীম খেলেন বড় ইনিংস। তার ৪৮ রানের ঝড়ে ১৭৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। এরপর লঙ্কায় দাপট দেখায় বোলাররা। শামীম দারুণ এক থ্রোতে ফেরান লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিসকে। প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে থাকা শ্রীলংকা অলআউট হয় ৯৪ রানেই। ৮৩ রানের জয়ে সিরিজে ফেরে টাইগাররা। ম্যাচের সেরা লিটন অবশ্য পুরো দলকেই এই জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন।
টাইগার কাপ্তান বলেছেন, ‘রিশাদ হোসেন অবশ্যই বিগ ফ্যাক্টর। যখনই সে ভালো বল করে, আমরা ম্যাচে থাকি। একটি জিনিস ভুলে গেলে চলবে না, কুশল এই সিরিজজুড়ে ভালো খেলেছে। ফলে তার উইকেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শামীম এখানে দারুণ কাজ করেছে। সব মিলিয়ে দারুণ টিম এফোর্ট ছিল।’
কলম্বোতে বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আপাতত ১-১ ব্যবধান।